Parenting Tips: বুক ফাটলেও যেন না ফোটে মুখ, সন্তানকে যে যে কথা কখনওই বলবেন না
সন্তান মানুষ করা মুখের কথা নয়। মা-বাবা মাত্রেই বিলক্ষণ জানেন এ কথা। আর সন্তান পালনের ক্ষেত্রে আচার-আচরণ, বিশেষ করে কথাবার্তায় সংযম আনা সবচেয়ে প্রয়োজন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appহাজার ঝামেলা সামলাতে গিয়ে, মুখ ফস্কে কখনও কখনও কিছু কথা বেরিয়ে যায়। বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের অন্য সদস্যরা তার প্রেক্ষিত বুঝতে পারলেও, শিশুমনে তার প্রভাব পড়ে বিস্তর।
তাই সন্তানের সামনে বুঝেশুনে কথা বলাই শ্রেয়। কিন্তু কখনও কখনও সংযম রাখতে পারি না আমরা। আমরা হয়ত রাগের মাথায় বলে দিলাম, পরে তা ভুলেও গেলাম, কিন্তু শিশুমনে সেই কথা এবং তার প্রভাব রয়ে যায় দীর্ঘ দিন।
সবসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে না হয়ত। কিন্তু কিছু কথা এমন রয়েছে, যা কোনও পরিস্থিতিতেই সন্তানকে বলা উচিত নয় এমন কী কী কথা এড়িয়ে চলা উচিত, জেনে রাখুন।
নিজের অনুভূতির প্রসঙ্গে একটা কথা মাথায় রাখুন, পরিস্থিতি যাই হোক না কে, তার দায় আপনার, সন্তানের নয়। তাই তাদের দোষারোপ করা ঠিক নয়। ‘আমাকে রাগিও না’, ‘আমি রেগে যাচ্ছি’ না বলে সময় নিয়ে আগে ধাতস্থ হোন। সন্তানকে বলুন, একটু পরে তার কথা শুনছেন।
শিশুদের কেউ কেউ ছোট থেকে চালাক-চতুর হয়, কারও মধ্যে আবার শিশুসুলভ ভাব বেশি। তাই বলে শিশুকে বোকা, গাধা বলে বসবেন না। সন্তানের মনে গেঁথে যেতে পারে।
সন্তানকে অন্য কারও সঙ্গে তো নয়ই, তার নিজের ভাই-বোনের সঙ্গেও কখনও তুলনা করবেন না। এতে ভাইবোনের মধ্যে সম্পর্কের সুতো আলগা হবে। ছোট থেকেই হীনম্মন্যতায় ভুগতে শুরু করবে আপনার সন্তান।
শিশুর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেওয়া, বা তাকে চলে যেতে বলা, এমন কখনওই করবেন না। বরং নিজে অপ্রস্তুত থাকলেও, সংক্ষেপে উত্তর দিলেও, কথা চালিয়ে যান। নিজেকে ধাতস্থ করুন।
শিশুর কোনও আচরণে অসন্তুষ্ট হলে, তাকে দু’কথা শুনিয়ে দওয়ার চিন্তা মাথাতেও আনবেন না। তাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত না করে, মাথা খাটান। বোঝান, আপনি তারই পাশে। দু’জনে যে একই টিমে, অশ্বাস দিতে হবে।
কোনও সময় হয়ত সন্তানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে ফেলছেন, পরে নিজেও বুঝতে পারছেন। কিন্তু তাও একটু এদিক ওদিক হলে কিছু বলে ফেলছেন। বুঝে যান, আপনার তরফ থেকও সমস্যা হচ্ছে, যা কিনা নিজেকেই মেটাতে হবে আপনাকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -