Platelet Count: প্লেটলেট কী? কত কমলে চিন্তার বিষয় কেন? কখন কমতে পারে
প্লেটলেট বা অনুচক্রিকা কমে যাওয়া মানেই শরীরে বাইরে ও ভিতরে রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়া। অনুচক্রিকার স্বাভাবিক মাত্রা দেড় লাখ থেকে সাড়ে চার লাখ। তবে যদি কখনও কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নেমে যায়; তখন ইন্টারনাল ব্লিডিংয়ের সম্ভাবনা থাকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপ্লেটলেট যদি ৫ হাজারের কম হয়; তখন ব্রেন, কিডনি, হার্টের মধ্য রক্তক্ষরণের ভয় থাকে। প্লেটলেট যে শুধুমাত্র ডেঙ্গি হলেই কমে এমনটা নয়। অন্যান্য অনেক রোগ-বালাইতেও প্লেটলেট কমে উল্লেখযোগ্য হারে।
যে কোনও ভাইরাল ইনফেকশনেই প্লেটলেটের কাউন্ট পড়ে যেতে পারে।
রক্তের মধ্যে শ্বেতকণিকা, লোহিত কণিকার সঙ্গে থাকে অনুচক্রিকা। যা, রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। প্লেটলেট কমে গেলে রক্ত জমাট বাঁধতে অতিরিক্ত সময় নেয়
শরীরের ভিতরে বা বাইরে কোথাও রক্তবাহিকা ক্ষতিগ্রস্ত হলে রক্তপাত শুরু হয়। সেখানে ছুটে আসে অনুচক্রিকা। রক্ত জমাতে সাহায্য করে। ধীরে ধীরে শরীর থেকে রক্ত বেরিয়ে গেলে শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা, রক্তের অক্সিজেন বহনক্ষমতা কমতে থাকে।
দেখা গিয়েছে, বাংলা, ঝাড়খণ্ডের মতো কয়েকটি এলাকার মানুষদের অনুচক্রিকার মাপ বড় । platelet র মাপ বড় হলে automated cell counter ভুল করে তাকে লোহিত কণিকা বলে চিহ্নিত করতে পারে । তখন প্লেটলেট কাউন্ট রিপোর্টে কম আসে।
রক্তে আয়রনের ঘাটতি থেকেও হতে পারে প্লেটলেটে ঘাটতি হয়। বেশ কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় প্লেটলেট কমে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মহিলাদের প্লেটলেট কমতে দেখা যায় শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হলেও ঘটতে পারে এমন ঘটনা
এছাড়াও ব্লাড ক্যান্সার, বোন ম্যারো সংক্রান্ত অসুখ, লিভারের বড়সড় সমস্যা, হলেও প্লেটলেট কমে যেতে পারে। এইআইভি হলেও প্লেটলেট কমতে পারে।
ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এই প্লেটলেটের বিষয়টি সকলের মাথায় বেশি করে ঘোরাফেরা করে। ডেঙ্গির সবথেকে ভয়াবহ বিষয়টিই হল দ্রুত গতিতে প্লেটলেট কমে যাওয়া। ডেঙ্গির ক্ষেত্রে ভাইরাস প্লেটলেট তৈরি হতে বাধা সৃষ্টি করে , আবার ইমিউনিটি সিস্টেম ভুল করে প্লেটলেট নষ্ট করে দিতে পারে। তখনই সঙ্কটটা বড় হয়ে দেখা দেয়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -