Hair Care Tips: চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দূর করতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলো, কী কী করতে পারেন?
চুলের একাধিক সমস্যা (Hair Problems) বছরভর নাজেহাল করে আমাদের। এর মধ্যে অন্যতম হল 'স্প্লিট এন্ডস' (Split Ends) বা চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appচুলে অপুষ্টির কারণে এজাতীয় সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে রুক্ষ, শুষ্ক চুলে ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা বেশি করে দেখা যায়।
কীভাবে কমাবেন স্প্লিট এন্ডসের সমস্যা? কীভাবে যত্ন নিলে চুলের ডগা ফেটে যাবে না? এই প্রসঙ্গেই রইল সহজ কিছু টিপস।
আমাদের চুলে বাইরে থেকে একটি প্রোটেক্টিভ লেয়ার বা সুরক্ষিত আচ্ছাদন থাকে। এই আস্তরণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে চুলের ডগা ফাটার সমস্যা দেখা যায়।
এই স্প্লিট এন্ডস কমানোর অন্যতম সমাধান হল নিয়মিত ভাবে চুল ছেঁটে নেওয়া। নির্দিষ্ট সময়ান্তরে চুলের ডগা ছেঁটে নেওয়া প্রয়োজন। এর ফলে চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা কমবে। চুলের গ্রোথ বা বৃদ্ধিও ভালভাবে হবে।
চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা দূর করার জন্য হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এর ফলে চুল নরম, মোলায়েম এবং উজ্জ্বল হবে।
বাড়িতেই হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারবেন। নারকেল তেল, মধু, অ্যাভোকাডো পেস্ট, কলা এইসব উপকরণ দিয়ে অনায়াসে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নেওয়া যায় বাড়িতে।
শ্যাম্পু করার আগে এইসব হেয়ার মাস্ক ভালভাবে চুলের ডগার অংশে লাগিয়ে নিতে হবে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট চুলে এই হেয়ার মাস্ক রেখে পরিষ্কার ঠান্ডা জলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে দু থেকে তিনদিন এই হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
চুল শুকানোর জন্য ড্রায়ার জাতীয় জিনিস ব্যবহার করবেন না। এর প্রভাবে চুলের একাধিক হয়। চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও দেখা যায়। চুলে রঙ করা বা চুল স্ট্রেট করার জন্য স্ট্রেটনারের ব্যবহার- এইসবই মারাত্মক ভাবে চুলের ক্ষতি করতে পারে।
স্নানের পর চুল মুছে নেওয়ার ক্ষেত্রে নরম গামছা বা তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। জোরে ঘষে চুল মুছলে হবে না। এর ফলে চুলের বারোটা বাজতে বেশি সময় লাগবে না। তাই চুল মোছার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। একই সঙ্গে ভেজা চুল কখনই চিরুনি দিয়ে আঁচড়াবেন না। আর ভেজা চুল নিয়ে বালিশে মাথা দিয়ে শুয়েও পড়বেন না। চুলের গোড়ায় জল জমে থাকলে হেয়ার ফলিকল আলগা হয়ে যায় এবং চুল পড়ার সমস্যা বাড়তে পারে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -