Pistachios: সন্দেশ এবং আইসক্রিমেই বেশি ব্যবহার, পেস্তার রয়েছে অনেক গুণ
সাধারণ রান্নায় পেস্তার খুব একটা ব্যবহার হয় না। কিন্তু বাহারি বা একটু কায়দার পদের ক্ষেত্রে পেস্তার ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। সাধারণ মানুষ অবশ্য সন্দেশ এবং আইসক্রিমেই পেস্তার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি দেখেছেন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই পেস্তার রয়েছে অনেক গুণ। প্রোটিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস- একাধিক পুষ্টি উপকরণে ভরপুর পেস্তা কেন খাবেন, অর্থাৎ খেলে কী কী উপকার পাবেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
খেয়াল রাখে হৃদযন্ত্রের- পেস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মোনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এই জাতীয় ফ্যাট মানবদেহে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। ফলে ভাল থাকে হৃদযন্ত্র। হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক এইসব সমস্যা হওয়ার প্রবণতা বা ঝুঁকি কমে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল- চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে পেস্তা। Lutein এবং Zeaxanthin- এই দুই উপকরণ থাকে পেস্তার মধ্যে। চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য, দৃষ্টিশক্তি প্রখর করার জন্য এই দুই উপকরণ কাজে লাগে।
অন্ত্রের সমস্যা দূর করে- পেস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে Dietary Fibre। এই জাতীয় ফাইবার হজমশক্তি ভাল রাখতে সাহায্য করে। দূর করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। আর খাবার হজম করার ক্ষমতা ভাল থাকলে অ্যাসিডিটি, অম্বল, বদহজম, পেটে ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন আপনি।
প্রচুর পুষ্টি উপকরণে ভরপুর- পেস্তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপকরণ রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, থিয়ামিন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম। এই সমস্ত পুষ্টি উপকরণ বা নিউট্রিয়েন্টস সার্বিকভাবে আমাদের শরীরের দেখভাল করে।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়- পেস্তার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। এই উপকরণ অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। মূলত আমাদের শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসের মাত্রা কমে গেলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস হতে পারে। রক্তে প্লাজমার পরিমাণ দেখে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসের পরিমাণ পরিমাপ করা সম্ভব।
অক্সিডেটিভ স্ট্রেস দেখা দিলে সেল টিস্যু ভেঙে যেতে পারে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ডিএনএ-ও। এর পাশাপাশি বাড়তে পারে ইনফ্লেমেশনের মাত্রা অর্থাৎ প্রদাহজনিত সমস্যা। সারাজীবনের জন্য দেখা দিতে পারে ক্যান্সার বা ডায়বেটিসের মতো গুরুতর রোগ।
পেস্তার অনেক গুণ রয়েছে ঠিকই। কিন্তু তাই বলে নিজে নিজে যথেচ্ছ পরিমাণে পেস্তা খেতে শুরু করবেন না। এর ফলে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লিখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -