Healthy Snacks: ডায়েট করলেও খেতে পারবেন মুখরোচক খাবার, সারাদিন সঙ্গে থাকুক এইসব 'হেলদি স্ন্যাকস'
ডায়েট করছেন মানে সারাদিনে অনেকবার অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে আপনাকে। অনেকক্ষণ খালি পেটে থাকা চলবে না কোনওভাবেই। এক্ষেত্রে সঙ্গে রাখতে পারেন মুখরোচক অথচ পুষ্টিকর স্ন্যাকস জাতীয় খাবার। তেল ছাড়া শুকনো করে ভাজা ছোলা খেতে পারেন হেলদি স্ন্যাকস হিসেবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমুখরোচক এবং হেলদি স্ন্যাকস হিসেবে আপনি খেতে পারেন মাখানা। এই তালিকায় রাখতে পারেন কর্ন কিংবা ভুট্টা সেদ্ধ এবং পপকর্নও। তবে কোনওটাই বেশি পরিমাণে খাওয়া চলবে না। অল্প করে খেতে হবে। কর্ন সেদ্ধ খেলে তার মধ্যে সামান্য লেবুর রস, বিটনুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন। খেতে স্বাদ হবে। সুইট কর্নের মধ্যে অল্প পরিমাণ মাখন দিয়েও খেতে ভাল লাগে।
বিভিন্ন ধরনের বীজ জাতীয় জিনিস খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে নানা কারণে ভাল। কারণ এইসব বীজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপকরণ বা নিউট্রিয়েন্টস। এই তালিকায় রাখতে পারেন কুমড়োর বীজ।
বিভিন্ন বাঙালি নিরামিষ পদের রান্নায় কুমড়োর বীজ দেওয়ার চল রয়েছে। আপনি সামান্য ভেজে নিয়েও কুমড়োর বীজ খেতে পারেন। তেল দিয়ে ভাজবেন না। বরং শুকনো কড়াইয়ে তাপে একটু রোস্ট করে নিন। এরপর অল্প বিটনুন ছড়িয়ে খেতে পারেন এই বীজ। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অনেক খনিজ উপকরণ রয়েছে এই কুমড়োর বীজের মধ্যে।
কটেজ চিজ বা পনির খেতে পারেন হেলদি স্ন্যাকস অর্থাৎ মুখরোচক স্বাস্থ্যকর খাবার হিসেবে। এই তালিকায় রাখতে পারেন ছানাও। বাড়িতে পাতিলেবুর রস দিয়ে দুধ থেকে ছানা তৈরি করে নিতে পারেন। পনিরও বাড়িতে তৈরি করা যায়।
কটেজ চিজ বা পনির এবং ছানা হল একটি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। এছাড়াও এই দুই খাবারে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি১২ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। এইসব উপকরণ অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরিয়ে রাখবে এবং সহজে খিদে পাবে না।
মুখরোচক স্ন্যাকস হিসেবে খেতে পারেন বিভিন্ন ধরনের বাদাম। আমন্ড, কাজুবাদাম, আখরোট, কিশমিশ এইসব বাদাম খেতে পারেন আপনি। যাঁরা রোজ বাড়ির বাইরে বেরোন তাঁরা ব্যাগে রাখতে পারেন এইসব বাদাম।
বাদামের সঙ্গে রাখা যেতে পারে ড্রাই ফ্রুটসও। এক্ষেত্রে কিশমিশ, খেজুর এগুলি খেতে পারেন। এইসব বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুটস ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন, মিনারেলস। ফলে এই খাবারগুলি খেলে সঠিক ভাবে পুষ্টি পাবেন আপনি।
ছোলা সেদ্ধ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর পদ তৈরি করে নেওয়া যায় সহজে। এক্ষেত্রে আপনি চাইলে কাবলি ছোলাও ব্যবহার করতে পারেন। যাঁদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাঁরা কাঁচা ছোলা এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে খান সেদ্ধ ছোলা।
এমনি ছোলার পরিবর্তে যদি কাবলি ছোলা খান, তাহলে পরিমাণ কিছুটা কম নিতে হবে। ফাইবার, আয়রন, ভিটামিন, মিনারেলস- সমস্ত ধরনের নিউট্রিয়েন্টস রয়েছে এই ছোলার মধ্যে যা আমাদের স্বাস্থ্যের সার্বিকভাবে খেয়াল রাখে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -