Spices Health Benefits: মধ্যবিত্তের রান্নাঘরের ৫ মশলা, শীতের মরশুমে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন এগুলিতেই
অনেক মশলাতেই রয়েছে ভেষজ গুণ। এছাড়াও থাকে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপকরণ। কোনও মশলা সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে। কোনও মশলা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। কিছু মশলা আবার সার্বিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এলাচ। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এলাচ। আর রান্নায় এলাচ গুঁড়ো কিংবা গোটা এলাচ দিলে খুবই সুন্দর গন্ধ এবং স্বাদ হয় সেই খাবারে।
গোলমরিচের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস। শীতের মরশুমে আমরা প্রায় সকলেই কাশির সমস্যায় ভুগে থাকি। শুকনো কাশি বা খুশখুশে কাশি কমানোর ক্ষেত্রে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে গোলমরিচের গুঁড়োর সঙ্গে চিনি বা মধু মিশিয়ে খেতে পারলে উপকার পাবেন নিমেষে।
গোলমরিচ গোটা অবস্থায় চিবিয়ে খেতে পারলে সবচেয়ে ভাল। তবে অনেকেই ঝাঁঝের জন্য খেতে পারেন না। রান্নায় গোলমরিচ যুক্ত করলে তার স্বাদই হল আলাদা রকমের। শীতকালে অনেকসময়েই প্রবল সর্দি লেগে বুকে কফ বসে যায়। তখন শ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। গোলমরিচ এই চেস্ট কনজেশন দূর করতেও সাহায্য করে।
আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। আদার রস আপনার হজমশক্তি ভাল করবে। কমাবে গ্যাস, অম্বল অর্থাৎ অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়াও গলায় সংক্রমণ হলে আদা দিয়ে চা করে খেলে উপকার পাবেন। কাশির সমস্যায় দারুণ ভাবে কাজে লাগে আদার রস। গলা ব্যথাও কমাতে পারে আদা।
শীতের মরশুমে ঠান্ডায় যাঁরা ভোগেন তাঁরা আদার কুচি রাখতে পারেন সঙ্গে। গলা খুশখুশ হোক বা শুকনো কাশি, নিমেষে কমাতে পারে আদার রস। আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে আদা। ভারতীয় রান্নায় তা আমিষ হোক কিংবা নিরামিষ পদ, আদা ব্যবহারের চল রয়েছে। আর আদা দিয়ে চা তো অনেকেরই খুব পছন্দের।
হলুদের রয়েছে অনেক গুণ। কোথায় চোট আঘাত পেতে হলুদ বেটে গরম করে সেই প্রলেপ লাগালে ক্ষতস্থানে আরাম পাওয়া যায়। ব্যথা দ্রুত কমে। ক্ষত শুকিয়ে যায় খুবই তাড়াতাড়ি। এছাড়াও কাঁচা হলুদ খেলে কিংবা দুধের মধ্যে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারলে অনেক উপকার পাবেন। প্রথমত সর্দি-কাশির ধাত থাকলে এই পানীয় আপনার ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
গলা ব্যথা, ইনফেকশন কমাবে কম সময়ে। এর পাশাপাশি হজমশক্তি ভাল রাখতে, প্রদাহজনিত সমস্যা কমাতেও কাজে লাগে হলুদ। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে হলুদ। কমায় অ্যাসিডিটির সমস্যা। আর রান্নায় হলুদের ব্যবহার যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা তো সবাই জানে।
দারচিনির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রয়েছে। এর সাহায্যে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে। এছাড়াও ইনফ্লেমেশন অর্থাৎ প্রদাহজনিত সমস্যা কমায়। এছাড়াও দারচিনি মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকরণ আমাদের শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।
শীতের মরশুমে যাঁদের অতিরিক্ত ঠান্ডা লাগার ধাত, অল্পেই সর্দি-কাশি-হাঁচি শুরু হয়ে যায়, তাঁদের জন্য দারুণ উপকারি এই দারচিনি। এছাড়াও রান্নায় দারচিনি ব্যবহার করলে যে সুগন্ধ পাওয়া যায় সেকথা সকলেরই জানা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -