Friendship Day: কখনও বন্ধু, কখনও চিরসখা-পুরাণে শ্রীকৃষ্ণের বন্ধুত্ব আজও উদাহরণস্বরূপ
বন্ধুত্বের সম্পর্কটিকে সমস্ত সম্পর্কের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে মনে করা হয়। যা আমরা কারো কাছ থেকে পাই না, কিন্তু নিজেরাই তৈরি করি। তাই বন্ধু প্রতিটি মানুষের জীবনে সবচেয়ে বিশেষ। একজন বন্ধু আমাদের জীবনের একমাত্র ব্যক্তি যিনি দুঃখ, সুখ এবং প্রতিটি প্রয়োজনের সময় আমাদের সমর্থন করেন। পুরাণে এমন কিছু বন্ধুত্ব রয়েছে যা সবার জন্য দৃষ্টান্ত।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবন্ধুত্বের মাঝে জাত ধর্ম আর্থিক ক্ষমতা যে কিছুই নয় তার প্রমাণ কৃষ্ণ-সুদামা। একজন রাজা অন্য জন দরিদ্র। তবুও বন্ধুকে তার যোগ্য সম্মান কী ভাবে দিতে হয় তা শেখা যায় কৃষ্ণ-সুদামার সম্পর্ক থেকে। এক বার কৃষ্ণের সঙ্গে দেখা করতে দ্বারকায় এসেছিলেন সুদামা। উদ্দেশ্য ছিল নিজের দারিদ্র্যের কথা বলে সাহায্য প্রার্থনা। তখন তিনি খুব অর্থিক ও খাদ্য সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। নিজের সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার মতো ক্ষমতা ছিল না তাঁর। তবু তিনি সঙ্গে করে চার মুঠো চিড়ে নিয়ে গিয়েছিলেন বন্ধু কৃষ্ণের জন্য। সেই চিড়ে ছিল কৃষ্ণের কাছে বন্ধুত্বের স্মৃতি সম্মান। সুদামা দ্বারকায় পৌঁছনোর পর কৃষ্ণ নিজে হাতে তাঁর পা ধুইয়ে দেন। চরণামৃত গ্রহণ করেন।
মহাভারতে আরও একটি বন্ধুত্বের কথা জানা যায়, তা হল দ্রৌপদীর সঙ্গে কৃষ্ণের বন্ধুত্ব। কৃষ্ণ ছিলেন দ্রৌপদীর সখা আর তিনি সখী। এই বন্ধুত্ব আধ্যাত্মিক গভীরতায় পূর্ণ। ভরা সভার মাঝে যখন চরম আপমানিত হতে বসেছিলেন দ্রৌপদী, কেউ ছিল না সেই লাঞ্ছনা থেকে তাঁকে মুক্তি দাতা। তিনি প্রাণ ভরে সখাকে স্মরণ করেছিলেন। তখন সখীর লজ্জা নিবারণের জন্য ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন কৃষ্ণ। শিশুপাল বধের সময় নিজের সুদর্শনের আঘাতেই আঙুল কেটে গিয়েছিল কৃষ্ণের। সেই ক্ষত আঙুলে নিজের শাড়ি ছিঁড়ে বেঁধে দিয়েছিলেন কৃষ্ণা অর্থাৎ দ্রৌপদী। সময় আসতে তারই প্রতিদান দিয়েছেন তিনি।
কর্ণের সঙ্গে দুর্যোধনের বন্ধুত্ব কলঙ্কিত হলেও তা বন্ধুত্বের পরিভাষায় মহৎ। কৃপাচার্যের কাছে কর্ণের মান রাখতে মুহূর্তের মধ্যে কর্ণকে অঙ্গদের রাজা ঘোষণা করেছিলেন দুর্যোধন। এর পেছনে নিজের স্বার্থ থাকলেও পরবর্তী কালে এই কৃতজ্ঞতা পাশে আটকে যান কর্ণ। অবশেষে দুর্যোধনের বন্ধুত্বের খাতিরে ধর্ম যুদ্ধে নিজের ভাইদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরতেও পিছ পা হননি তিনি।
রামায়ণে সীতা অপহরণের পর, যখন ভগবান রাম ও লক্ষ্মণ মা সীতার সন্ধানে জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন, তখন তারা সুগ্রীবকে খুঁজে পান। সেই থেকে সুগ্রীব এবং ভগবান রাম একে অপরকে সমর্থন করেছিলেন।
কৃষ্ণ অর্জুনের বন্ধুত্বের কথা কে না জানে। কৃষ্ণ ছিলেন অর্জুনের সখা, দিক দ্রষ্টা, নিয়ন্ত্রণ কর্তা, পরামর্শদাতা। অর্জুনের প্রতি কৃষ্ণের উচ্চারিত পরামর্শ গীতায় সংকলিত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -