Antibiotic Overdose : অ্যান্টিবায়োটিক বেশি খেয়ে শরীরের কী কী ক্ষতি?
বিনা প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খেয়ে কতটা ক্ষতি আপনি করে ফেললেন তা আপনি নিজেও জানেন না ! সব অসুখে সলিউশন কি অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ করতে পারে? ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধ খেলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় ?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appফর্টিস হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক দেবাশিস দত্ত জানালেন, অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ শুধুমাত্র ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট অসুখের ক্ষেত্রেই কাজ করে ভাইরাস বাহিত অসুখে নয় ! এই সূক্ষ্ম পার্থক্য টাই মানুষ বোঝেন না ।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত সেবনের ফলে শরীরে নানারকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে । মনে রাখতে হবে, অ্যান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত খেলে শরীরে একটি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে যায়, যার ফলে যে অ্যান্টিবায়োটিকগুলি প্রয়োজনেও কাজ করা বন্ধ করে দেয় ।
আমাদের শরীরে কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রয়োজনীয় অর্থাৎ ভালো ব্যাকটেরিয়া । কিছু ব্যাকটেরিয়া খারাপ অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ।
অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে দেখা যায় ওষুধগুলি আমাদের পাচক ক্রিয়ায় ব্যবহৃত ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলিকেও মেরে ফেলছে। বিশেষত ক্ষুদ্রান্ত্রে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলিও অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনে নষ্ট হয়ে যায়।
ভুল ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে শরীরে নানা রকমের সমস্যা দেখা দিতে পারে । যেমন ইনফেকশনের পরে পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা । বারবার মলত্যাগের বেগ পাওয়ার মত সমস্যা হতে পারে।
clostridium difficile ইনফেকশনের মত সমস্যা অ্যান্টিবায়োটিক ড্রাগ থেকে হতে পারে। এক্ষেত্রে ডায়রিয়ার মত লক্ষণ দেখা যেতে পারে অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ বেশি খেলে।
এরকম দেখা গিয়েছে আগে যে অ্যান্টিবায়োটিক দ্রাবগুলি মানুষের শরীরের উপর সহজেই কাজ করতো এখন তা আর কাজ করে না একজন রোগীর শরীরে অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়ে গেলে তাকে আরো কড়া ধাঁচের অ্যান্টিবায়োটিক না দিলে অসুখের নিরাময় হচ্ছে না
যত কড়া অ্যান্টিবায়োটিক তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই নিজে থেকে দুমদাম করে অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শুরু করে দিলে তা যেমন গ্যাস্ট্রো সিস্টেমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে তেমনি লিভার ও কিডনি কেউ ড্যামেজ করতে পারে।
তাই অ্যান্টিবায়োটিকস খান ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে। ডোজ শেষ করুন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -