Finishing a Book: পড়ায় আগ্রহ পান না, গোটা বই শেষ হয় না আজকাল? ধাপে ধাপে অভ্যাস ফেরান এই উপায়ে...

গল্পের বই নিয়ে একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যেত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে কর্মজীবনে যত বেশি জড়িয়ে পড়েছি আমরা, যত বেড়েছে ব্যস্ততা, ততই বইপড়ার অভ্যাসে ছেদ পড়েছে।

কখনও যদিও বা বইয়ের তাকে হাত গিয়েছে, দু'চার পাতা ওল্টানোর পর হয় চোখ বুজে এসেছে, নয়ত বা কয়েক পাতা পড়লেও মাথায় ঢোকেনি কিছুই। কারণ মনোযোগই করা সম্ভব হয়নি।

কমবেশি আমরা সকলেই এমন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। বইপড়ার অভ্যাস চলে না যায়, মনে আশঙ্কা চেপে বসেছে আরও বেশি করে। তবে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।

বই হাতে নিলেই হল না, সেটি পড়ার আগ্রহ তৈরি হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনার আগ্রহের অধ্যায়গুলি দাগিয়ে নিতে পারেন প্রথমে। সেই মতো পড়া শুরু করুন। এর ফলে মূল বিষয়বস্তু যখন জানা হয়ে যাবে, এমনিতেই পাতা ওল্টাতে থাকবেন। বিশেষ করে নন ফিকশনের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে গোটা বই শেষ করা সম্ভব। উপন্যাসের ক্ষেত্রে চরিত্র, তাদের কথোপকথন এবং গল্পের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ধরে এগোন।

ছোট বেলায় মনে মনে নয়, জোরে জোরে পড়তাম আমরা, যাতে শব্দগুলি কানে যেত। জোরে জোরে না পড়, এমন ভাবে পড়ুন, যাতে শব্দগুলি মাথায় ঢোকে। মিনিটে ৩০০টি শব্দ পড়ার চেষ্টা করুন।

তবে শুধু শব্দ ধরে ধরে পড়লে হবে না, বাক্যাংশের অর্থ ধরে ধরে এগোতে হবে। একবারে নয়টি শব্দ পড়ার চেষ্টা করুন। এতে গতি আসবে পড়ায়।

অনেক সময় বেশ কয়েক পাতা পড়ার পর মনে হয়, কিছুই মাথায় ঢুকল না। ফলে আবারও আগের পাতাগুলিতে ফিরে যাই আমরা। এই অভ্যাস ছাড়তে হবে। পিছনের দিকে নয়, সামনের দিকে এগনো উচিত।

পড়ার অভ্যাস একদিনে ফিরে আসে না। সময় লাগে, তাই লেগে থাকতে হবে। রোজ অন্তত কয়েক পাতা পড়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন আগ্রহ তৈরি হবে এমনিতেই।

এমন হতেই পারে যে কোনও কোনও দিন পড়ার আগ্রহ পাচ্ছেন না। এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এমনটা হতেই পারে। জোর করে বইয়ে মুখ গুঁজে বসে থাকতে হবে না। দিনে ১৫ মিনিট বরাদ্দ করুন প্রথমে। যেদিন মন ভাল থাকবে, এমনিতেই পড়তে ইচ্ছে হবে।

পড়ার নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নিতে পারেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে বই পড়তে পারেন। বাইরে পার্কে বসে বা মেট্রোয় যেতে যেতেও বই পড়া যায়। কেউ কেউ টয়লেটেও বই পড়েন। এসবেও কাজ না হলে অডিও বুকের দ্বারস্থ হতে পারেন।