Nervous Breakdown: নার্ভাস ব্রেকডাউন কী? হলে কী করা উচিত?
বর্তমান দ্রুতগতির বিশ্বে, স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা অনেকটাই পরিচিত হয়ে উঠেছে। নার্ভাস ব্রেকডাউন কী এই প্রশ্নের উত্তর অনেকেরই অজানা। স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা কখনও কখনও বাড়তে পারে যাকে সাধারণত ‘নার্ভাস ব্রেকডাউন’ হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশারীরিক সমস্যার দিকে গুরুত্ব দিলেও মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি আমাদের খুব বেশি খেয়াল থাকে না। এক্ষেত্রে আমরা বেশিরভাগই থাকি উদাসীন। তবে বাস্তবতা হলো শারীরিক যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যার মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাও প্রতিরোধ করতে হবে।
নার্ভাস ব্রেকডাউনের লক্ষণ, অন্তর্নিহিত কারণ এবং প্রয়োজনীয় প্রতিকারগুলো জানা থাকা জরুরি। সেজন্য সবার আগে নার্ভাস ব্রেকডাউন কী তা জানা জরুরি। এটি জানা থাকলে বাকি পদক্ষেপগুলো সহজ হয়ে যায়। ফলে নিজের বা প্রিয়জনের প্রয়োজনে যথাসাধ্য সাহায্য করা সম্ভব হয়।
নার্ভাস ব্রেকডাউনের সময় যে কারও জন্য তার প্রতিদিনের কাজগুলো কার্যকরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে ওঠে। এই ধরনের ক্ষেত্রে জরুরি বিশেষজ্ঞ কারও পরামর্শ নিতে হবে।
উদ্বেগ নার্ভাস ব্রেকডাউনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। এর ফলে ভয়, অস্বস্তি এবং আশঙ্কার তীব্র এবং অবিরাম অনুভূতি অনুভব হয়। উদ্বেগ ছাড়াও অন্য কিছুতে মনোনিবেশ করা কঠিন হয়ে ওঠে। দেখা দিতে পারে কিছু শারীরিক উপসর্গ।
নার্ভাস ব্রেকডাউনের সময় বিষাদ এবং হতাশার অনুভূতি দেখা দেয়। তখন নিজের পছন্দের কাজগুলোও আর করতে ইচ্ছা করে না। কোনোকিছুতে আনন্দ লাগে না এবং কোনো কাজও করতে ইচ্ছা করে না। এই মানসিক অসাড়তা সামাজিকভাবেও আপনাকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিংয়ের মতে, নার্ভাস ব্রেকডাউনের বিভিন্ন অন্তর্নিহিত কারণ থাকে। বিষণ্ণতা, উদ্বেগ বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (PTSD) এর মতো অবস্থা ব্যক্তিদের নার্ভাস ব্রেকডাউনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কোনো ঘটনা যেমন বিবাহবিচ্ছেদ, ট্রমা বা আর্থিক সমস্যা প্রধান কারণ হিসাবে কাজ করতে পারে।
নার্ভাস ব্রেকডাউনের সম্মুখীন হলে, অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া অত্যাবশ্যক। মানসিক স্বাস্থ্যের অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কিত লক্ষণগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ডাক্তাররা ওষুধ লিখে দিতে পারেন।
মনোবিজ্ঞানী বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা চাপ এবং মানসিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করার জন্য থেরাপি দিতে পারেন। কাউন্সেলিং, ওষুধ বা জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -