Human Psychology: আমার চেয়ে বেশি ভাল আছে অন্য জন, কেন এমন মনে হয় আমাদের?

Feeling Inferior: নিজের তুলনা অন্যের সঙ্গে কেন করি আমরা? ছবি: ফ্রিপিক।

Continues below advertisement

ছবি: ফ্রিপিক।

Continues below advertisement
1/11
নিজেকে নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভুগি আমরা অনেকেই। বিশেষ করে কোনও সমস্যায় পড়লে, অন্য লোক কত ভাল আছে, কত ভাল জীবন চলছে তাদের, তা নিয়ে আকাশপাতাল ভাবতে শুরু করি।
2/11
শুধু ভাবনার মধ্যেই সীমিত থাকে না বিষয়টি। বরং অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করতে গিয়ে হীনম্মন্যতা গ্রাস করে আমাদের, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলি, নিজের প্রতি ঘৃণাও জন্মায় এক এক সময়।
3/11
কিন্তু আমার চেয়ে অন্যজন ভাল আছে, এই ভাবনা কেন মাথায় আসে আমাদের? কেন নিজের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলি আমরা? কেন গ্লানিতে ভুগি? এর কিছু কার্যকারণ চিহ্নিত করেছেন মনোবিদরা।
4/11
তাঁদের মধ্যে নিজের সঙ্গে অন্যের তুলনা আমরা খারাপ সময়েই করি মূলত। এর নেপথ্য শৈশবের অভিজ্ঞতা, সামাজিক প্রত্যাশা এবং আরও কিছু বিষয় অনুঘটকের কাজ করে। নিজের মধ্যে ভালর চেয়ে খারাপই বেশি দেখতে পাই।
5/11
কারও সঙ্গে নিজের তুলনা করার নেপথ্য় কারণ হিসেবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। সেখানে কে কী করছে, কে কোথায় যাচ্ছে, কী খাচ্ছে, কী পরছে, তার সঙ্গে নিজের অবস্থা মিলিয়ে দেখি আমরা। ভুলে যাই, তাঁরাও বিশেষ কিছু মুহূর্তই তুলে ধরছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। রোজকার জীবনে সকলেরই নিজস্ব লড়াই রয়েছে।
Continues below advertisement
6/11
আমরা এমন সমাজে বেড়ে উঠেছি, যেখানে চারপাশের মানুষের অনেক প্রত্যাশা থাকে আমাদের ঘিরে। আপনি হয়ত বিয়ে-সন্তান চাইছেন না এই মুহূর্তে, কিন্তু তাঁরা চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন। আপনি হয়ত তুলনামূলক কম রোজগার করেন, সেই নিয়ে অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়। এতেও হীনম্মন্যতা তৈরি হয়। কিন্তু যেটা পাচ্ছি, তাতে খুশি হতে জানলে, এসবের আঁচ লাগবে না গায়ে।
7/11
হঠাৎ করে সম্পর্ক ভাঙলেও নিজের প্রতি করুণা হয়। নিজের খুঁত বের করতে বসি আমরা। মনে হয়, কোথায় খামতি রয়ে গেল যে তাঁকে ধরে রাখতে পারলাম না। কিন্তু মনে রাখতে হবে, জীবনে কোনও কিছুই স্থায়ী নয়। এক একজন জীবনে আসেন, আবার চলেও যান। সকলে থেকে যাবেন, এমনটা দস্তুর নয়।
8/11
শারীরিক গঠন, চেহারা নিয়েও হীনম্মন্যতায় ভোগেন অনেকে। অন্যের চেয়ে নিজেকে ছোট মনে করেন তাঁরা। কমবেশি সকলের মধ্যেই এই প্রবণতা রয়েছে। কিন্তু দৈহিক সৌন্দর্যের কি সত্যিই কোনও মাপকাঠি হয়? হলেও, তা কে ঠিক করে? নিজে একটু ভাবলেই উত্তর পেয়ে যাবেন।
9/11
কেউ রুপোর চামচ মুখে দিয়ে জন্মান, কাউকে আবার লড়াই করে এগিয়ে যেতে হয়। ফলে অন্যের সৌভাগ্য দেখে নিজের দুর্ভাগ্য আরও বেশি বেঁধে মনকে। বড় হয়েও কে, কত বেশি রোজগার করছে, তা নিয়ে মাথাব্যথার শেষ থাকে না। কিন্তু টাকাপয়সা দিয়ে কি সত্যিই সবকিছু নির্ধারণ করা যায়? প্রশ্ন করুন নিজেকে।
10/11
হীনম্মন্যতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, এসবের জন্য শৈশবের দুঃসহ অভিজ্ঞতাও দায়ী হয়। শৈশবে যদি হেয় করা হয়ে থাকে আপনাকে, অন্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়ে থাকে, মাপকাঠিতে উতরোতে না পারায় নৃশংস আচরণের শিকার হতে হয়, বড়বেলাতেও সেই ট্রমা কাটে না। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনি ভাল না খারাপ, নিখুঁত না ত্রুটিপূর্ণ, তা অন্য কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। নিজের মূল্য নিজেকেই বুঝতে হবে।
11/11
ডিসক্লেইমার : প্রতিবেদনে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Sponsored Links by Taboola