Laughter in Serious Situation: গুরুগম্ভীর পরিবেশে হাসি আটকায় না, কাঁদতে কাঁদতেও হেসে ফেলেন অনেকে, কারণ কী?

Mental Health: চারপাশে এমন অনেকেই আছেন। সমালোচনার আগে কার্যকারম বোঝা দরকার। ছবি: ফ্রিপিক।

ছবি: ফ্রিপিক।

1/10
চারপাশের পরিস্থিতি হয়ত গুরু-গম্ভীর। সেই সময় বেমক্কা হেসে ফেলেন কেউ কেউ। চারপাশের লোকজন বিষয়টি ভাল ভাবে না নিলেও, হাসি রুখতে পারেন না তাঁরা।
2/10
ইচ্ছাকৃত ভাবে কে-ই বা নিজেকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইবেন? বিশেষজ্ঞরাও এব্যাপারে একমত। গুরুতর পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যাঁরা হেসে ফেলেন, তার নেপথ্যে নির্দিষ্ট কিছু কার্যকারণ থাকে বলে মত তাঁদের।
3/10
গুরুতর পরিস্থিতিতে যাঁরা হেসে ফেলেন, তাঁরা হাসি রুখতেও পারেন না সহজে। এমনকি ওই পরিস্থিতিতে যে হাসা উচিত নয়, তা বোঝার মতো অবস্থাতেও থাকেন না। এই আচরণের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি, উৎকণ্ঠাও জড়িয়ে থাকে।
4/10
গুরুগম্ভীর পরিবেশে কেউ কেউ অত্য়ন্ত ভয়ভীত হয়ে পড়েন। অজান্তেই উৎকণ্ঠা গ্রাস করে তাঁদের। মানসিক চাপের মধ্যে কিছু বোঝা-শোনার মতো অবস্থায় থাকেন না। এর ফেল প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে হেসে ফেলেন তাঁরা।
5/10
২০২০ সালে একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, কঠিন পরিস্থিতিতে কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। হাসির মাধ্যমেই উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। উৎকণ্ঠিত হলেই হেসে ফেলেন তাঁরা। আবার ভয়ভীত হলেও হাসি বেরোয়।
6/10
অটিজমে আক্রান্ত হলে সামাজিক রীতিনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা হয়। ২০২১ সালে একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়, অটিস্টিক ছেলেমেয়ের হাসির কারণে অনেক সময় অস্বস্তিতে পড়তে হয় মা-বাবাকে। উৎকণ্ঠায় ভুগলে অটিস্টিক রোগীরাও হেসে ফেলেন। আবার, চারপাশের ঘটনাবলী সম্পর্কে তাদের ধারণা কিছুটা আলাদা হয়। ফলে বাকিদের সঙ্গে খাপ খায় না।
7/10
কিছু মানসিক সমস্যা থেকেও গুরুতর পরিস্থিতিতে হাসি পেয়ে যায়। যাঁদের স্কিৎজোফ্রেনিয়া আছে, তাঁদের হাসি অন্যদের অস্বাভাবিক মনে হতে পারে। নিজেদের আবেগ, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ বেগও পেতে হয় তাঁদের।
8/10
আবার কিছু ক্ষেত্রে কেউ কেউ বেশি উত্তেজনা বোধ করেন, অন্যদেক চেয়ে বেশি উৎসাহিত বোধ করেন। কিন্তু প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। তাই তাঁরা হেসে ফেললে অনেকে বিব্রত হন।
9/10
একই সঙ্গে হাসছেন, কাঁদছেন, এমন কাউকে দেখেছেন? এই আচরণকে বলা হয় Pseudobulbar Affect. ২০২১ সালে একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, আমেরিকার ১৮ লক্ষ থেকে ৭১ লক্ষ মানুষের মধ্যে এমন উপসর্গ রয়েছে।
10/10
এক্ষেত্রে স্নায়ুঘটিত কিছু সমস্যা থাকে। এর ফলে মস্তিষ্ক আবেগ, অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে ধ্যান করতে পারেন। হাসি পেলে বসার বা দাঁড়ানোর ভঙ্গি পাল্টে ফেলুন। ঘটনাস্থল থেকে অন্যত্র চলে যান। অন্য কিছু ভাবার চেষ্টা করুন। তবে সমস্যা গুরুতর হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডিসক্লেইমার : প্রতিবেদনে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি মেনে চলতে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
Sponsored Links by Taboola