Clock History: ঘড়ির কাঁটা কেন বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ঘোরে?
ছোট্ট লাতিন শব্দ ‘ক্লক্কা’। বাংলা তর্জমা করলে যার মানে দাঁড়ায় ‘ঘণ্টি’। সাধারণত, সময়ের সঙ্গেই এই শব্দের যোগ। লাতিন ক্লক্কা থেকেই ‘ক্লক’ শব্দকে অভিধানে ঠাঁই দিল ইউরোপীয়রা। ধরে নেওয়া হয়, প্রথম ঘড়ির মডেলও তৈরি হয় ইউরোপেই।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appকিন্তু ভেবে দেখেছেন কি পুরনো হোক বা আধুনিক, যে কোনও প্রকার ঘড়ির কাঁটাই কেন বাঁ দিক থেকে ডান দিকে ঘোরে?
আধুনিক প্রযুক্তির ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ডের কাঁটাওয়ালা ঘড়ি আসার অনেক আগেই সূর্য ঘড়ির ব্যবহার শুরু। মিশরীয়রাই প্রথম প্রকৃতিনির্ভর এই ঘড়ি নির্মাণ করেছিলেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের চলনের উপর নির্ভর করে সূর্যঘড়ির দণ্ডের ছায়ার দৈর্ঘ্যে ও অবস্থানের উপর নির্ভর করেই সময় গুনতেন পুরনো যুগের মানুষ।
কিন্তু এই ঘড়ির কাঁটা তো ডান দিক থেকে বাঁ দিকেও ঘুরতে পারত, কিন্তু ঘোরে না কেন? ভেবে দেখেছেন কখনও?
ইউরোপে প্রথম তৈরি হয় ঘড়ির মডেল। তার আগে সূর্যঘড়ির উপরই নির্ভর করতে হত। ইউরোপ যেহেতু পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে অবস্থিত, তাই ভৌগোলিক নিয়মেই সেখানে সূর্য হেলে থাকে দক্ষিণ আকাশে। তাই সূর্যঘড়ি ব্যবহারের সময় তাতে যে দণ্ড থাকত, তার ছায়া বাঁ দিক থেকে ডান দিকে সরত। সেই চলন অনুযায়ীই নির্ধারিত হত সময়।
সূর্যঘড়ি অবলুপ্ত হলেও এখনও সেই উত্তর গোলার্ধে সূর্যের চলনের উপর নির্ভর করেই আমরা ঘড়ি দেখি নিয়মিত।
মজার বিষয়, যদি ঘড়ির প্রথম মডেলটি অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডে তৈরি হত, তাহলে ঘড়ির কাঁটা বাঁ দিকে ঘুরত। কারণ দক্ষিণ গোলার্ধে সূর্যঘড়ির ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ঘোরে!
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -