World Cancer Day: ক্যানসারের বিপদ এড়াতে সহায়ক কিছু খাবার
জীবনযাত্রায় বদল ঘটিয়ে কি ক্যানসারের বিপদ এড়ানো যায়? বিভিন্ন গবেষণায় এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা হয়েছে। এতে দেখা গিয়েছে যে, ক্যানসারের কারণের মূল লুকিয়ে থাকতে পারে জীবনযাত্রা, পরিবেশের ওপর। জিনগত সমস্যার কারণে খুবই অল্পহারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে। অর্থাৎ এই রোগ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণযোগ্য।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appধূমপান, ভাজা খাবার, রেড মিট, খুব বেশি রোদে থাকা, পরিবেশের দূষিত পদার্থ, সংক্রমণ, চাপ, স্থুলত্ব, শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই মারণ রোগ সম্পর্কে সচেতনতা প্রসারই এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু খাবারে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক, এমনই কয়েকটি খাদ্য সম্পর্কে, যা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি- বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছেন, গ্রিন টি নিয়ে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, ক্যানসার প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় গ্রিন টির উপযোগী হতে পারে। গ্রিন টিতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা ইজিসিজি নামে পরিচিত। গ্রিন টি-র ওই উপাদান প্রদাহ দমনে সহায়ক। সেলুলার ক্ষতি থেকে এই গুণ কোষকে সুরক্ষিত রাখতে সহায়ক।
মাশরুম- বিভিন্ন সায়েন্টিফিক জার্নাল ও ওষুধ সংক্রান্ত গবেষণায় ক্যানসারের ক্ষেত্রে মাশরুমের উপযোগীতার কথা বলা হয়েছে। মাশরুম খুবই অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি খাবার। এটি টিউমারকে সক্রিয় হতে রুখতে সহায়ক। ইনফ্লেমেশন কমিয়ে ও অ্যান্টি অক্সিডেন্ট কমিয়ে মাশরুম ক্যানসারের উপশম, সুস্থতার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
ফুলকপি, বাঁধাকপির মতো সব্জি- এ ধরনের সব্জিগুলি সালফোরেফেন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টস ও কোলিন প্রচুর পরিমাণে থাকে। কোনও অ্যালার্জি না থাকলেও তা শরীর খুব ভালো রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারে। তবে তা খুব ভালো করে রাঁধতে হবে। ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সর্ষের তেল ও বীজ, মূলো এই গোত্রের সব্জি।
অ্যাপিজেনিন-সম্বৃদ্ধ খাবার- ক্যানসারের ক্ষেত্রে যে খাবারে অ্যাপিজেনিন রয়েছে, তা খুবই ইতিবাচক ভূমিকা পালনে সক্ষম। আপেল, চেরি, আঙুর, পুদিনার মতো খাবারে এই গুণ পাওয়া যায়।
তুলসিকে ক্যানসার-নাশক বলে মনে করা হয়। দিনে ২-৩ টি করে তুলসি পাতা খেলে বহু রোগের ক্ষেত্রেই উপকার পাওয়া যায়।
হলুদ- আমাদের খাদ্যতালিকায় হলুদের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। হলুদ অ্যান্টিসেপটিক। তা ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।
গরুর দুধ- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সহায়ক গরুর দুধ। নিয়মিত দুধ পান করলে তা ক্যানসার দূরে রাখতে সহায়তা করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -