World Water Day 2022: টান পড়ছে ভূগর্ভের ভাঁড়ারেও, আগামী দু'দশকেই জলশূন্য পৃথিবী!
উষ্ণায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, একের পর এক কোপ নেমে আসছে পৃথিবীর উপর। তার উপর রয়েছে মনুষ্যের উপদ্রবও। তাতে এ বার টান পড়ছে মাটির নীচের জলেও। বিশ্ব জল দিবসে তাই ভূগর্ভস্থ জল সংরক্ষণে জোর।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে পানীয় জলের প্রায় অর্ধেকই আসে ভূগর্ভ থেকে। সেচকার্য়ে ব্যবহৃত জলের ৪০ শতাংশ এবং শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত জলের এক তৃতীংশও সেখান থেকেই আসে। এই ভূগর্ভস্থ জল শুধু বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্যই বজায় রাখে না, জলবায়ু পরিবর্তনের গতি মন্থর করতে এবং তার সঙ্গে পরিবেশের সামঞ্জস্য গড়ে তুলতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
ভূগর্ভস্থ জল স্রোতস্বিনী নয়। বরং মাটির খাঁজে, গর্তে, জমে থাকা জল। যন্ত্রের মাধ্যমে সেই জল টেনে উপরে তুলি আমরা। কিন্তু সেই শূন্যস্থানপূরণে কত সময় লাগছে তা বোঝা দরকার।
ভূগর্ভস্থ জল আদৌ পানের যোগ্য কি না, তাতে আর্সেনিক রয়েছে কি না, তা শুধু ছবি দেখে বোঝা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত প্রযুক্তির, যার মাধ্যমে বিশুদ্ধ এবং দূষিত জলকে চিহ্নিত করা যায়।
কোন দেশ, কোন কাজে, কত পরিমাণ ভূগর্ভস্থ জল ব্যবহার করছে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকলে ভূগর্ভস্থ জলের রূপরেখা নির্ধারণ সম্ভব হবে।
ভূগর্ভস্থ জল বাঁচিয়ে রেখে, তার বিকল্প হিসেবে বৃষ্টির জল ধরে রাখায় জোর দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এতে ভূগর্ভস্থ জলকে বিপদের সময় কাজে লাগানো যেতে পারে।
ভূগর্ভস্থ জল শুধুমাত্র মানুষের ব্যবহারের কাজে লাগে না, বরং জলের প্রবাহ এবং জলাভূমির সহযোগী বাস্তুতন্ত্রের অভিন্ন অংশ। পাম্পের সাহায্যে অত্যধিক পরিমাণ জল তুলে নেওয়ায়, তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একজোটে তা প্রতিরোধে করতে হবে।
প্রতি বছর ২২ মার্চ দিনটি বিশ্ব জলদিবস হিসেবে পালিত হয় সর্বত্র। জনজীবনে জলের গুরুত্ব এবং তা সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ।
তার আওতায় এ বছর ভূগর্ভস্থ জল বাঁচানোর অঙ্গীকার করেছে গোটা বিশ্ব। দীর্ঘমেয়াদি এই পরিকল্পনার তার আওতায় ২০৩০-এর মধ্যে সর্বত্র বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -