২০২২ সালে কোন কোন রোগ হয়ে উঠেছিল প্রাণঘাতী? চলুন দেখে নিই
কোভিড মহামারী গত দু বছর ধরে অনেকটাই অন্যান্য রোগের থেকে অনেকটাই চোখ সরিয়ে দিয়েছিল। অনেক রোগের চিকিৎসা ব্যাহত হয়েছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appঅনেক রোগের ভ্যাকসিন পড়েনি নিয়মিত। অনেক গবেষণা ব্যাহত হয়েছে। কিন্তু রোগ তো যায় না। ফের বেশ কয়েকটি রোগ আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।
২০২২ সালে দক্ষিণআফ্রিকার বাইরে এই ভাইরাল রোগের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে। বিশ্বব্যাপী ৮০ হাজার জনেরও বেশি মানুষ এর দ্বারা সংক্রমিত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মাঙ্কিপক্সকে একটি বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করে।
জুলাই মাসে বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনার পর সারা বিশ্বে স্বাস্থ্যভিত্তিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারতেও প্রবেশ করে মাঙ্কি পক্স (Monkeypox)। করোনা অতিমারির মধ্যে বিশ্বজুড়েই ত্রাস সৃষ্টি করে এই ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত ভারতে ২৩ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
গত দুই বছরে ফ্লু ভ্যাকসিনেশনে বিলম্বের কারণে ভারতে সোয়াইন ফ্লুতেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। এই বছর সাড়ে ১১ হাজার মানুষ সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে, যা আগের বছরের থেকে ১৫ গুণ বেশি।
২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে হাম আক্রান্ত হতে শুরু করে বহু শিশু। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে হামের প্রায় সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি কেস পাওয়া গিয়েছে। এতে 40 জন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
২০২৩-এর ডিসেম্বরের মধ্যে ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিনেসন করতে হবে। তৈরি করতে হবে টাস্কফোর্স। রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
এই বছর সমস্যায় ফেলেছিল টমেটো ফ্লু-ও। তাছাড়া অনেককে ভুগিয়েছে হ্যান্ড ফুট ও মাউথ ইনফেকশন (HFMD)। এই বছর কেরল, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অসম এবং ওড়িশায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে টমেটো ফ্লুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
বর্ষা শেষ, উৎসবের মরসুম শুরু মানেই ডেঙ্গির চোখ রাঙানি। রাজ্যে উদ্বেগজনক ডেঙ্গি পরিস্থিতি ছিল নভেম্বর অবধি । কোথাও সচেতনতার ছবি দেখা গেলেও এডিস মশাবাহিত রোগ থেকে নিস্তার পায়নি মানুষ।
রাজ্যে ডেঙ্গির দাপটের মধ্যেই ম্যালেরিয়ার বাড়বাড়ন্ত হয়। অনেকক্ষেত্রে আবার একই সঙ্গে হয়েছে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া! রাজ্য সরকারের তথ্য অনুযায়ী, শেষ দু’মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -