সেরা মানের গিয়ার লিভার, ১২.৩ ইঞ্চি এইচডি টাচস্ক্রিন, চামড়ার ইন্টিরিয়র ডিজাইন, এমজি মোটরের সবচেয়ে বিলাসবহুল গাড়ি হতে চলেছে নতুন গ্লস্টার
গ্লস্টার দেখতে কিছুটা আয়তাকার। যা ক্রেতাদের বেশ পছন্দের। পিছনে বিশালাকার টেইল ল্যাম্প আর বড় আকৃতির ‘গ্লস্টার’ লেখা ব্যাজের জন্য আরও আকর্ষণীয় লাগে।
অটো এক্সপোয় প্রথম প্রদর্শিত হয় গ্লস্টার। আকার-আকৃতিতে ফোর্ড এনডেভর ও টয়োটা ফর্চুনারের চেয়েও বড় এই গাড়ি। শার্প ও অ্যাঙ্গলড হেডল্যাম্প এই গাড়িকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। গ্লস্টারের হুইল সাইজ করা হয়েছে ১৯ ইঞ্চি।
টুয়েলভ ওয়ে অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট রয়েছে গ্লস্টারে। মেমরি ও মেসেজ আদানপ্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। সঙ্গে প্যানরমিক সানরুফ, থ্রি জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল, ১২টি স্পিকার যুক্ত অডিও সিস্টেম রয়েছে। রয়েছে হ্যালো এমজি ফিচারস। লেন ডিপার্চার ওয়ার্নিং, ফ্রন্ট কলিসন ওয়ার্নিং, এমার্জেন্সি ব্রেকিং ও অটো পার্কিং অ্যাসিস্ট।
হেক্টর গাড়ি দিয়ে ভারতে ব্যবসা শুরু করেছিল এমজি মোটর। তারপর জেডএস-ও আনে তারা। এবার ঝকঝকে নতুন এসইউভি গ্লস্টার আনতে চলেছে তারা। বিলসবহুল এই গাড়িকে সবচেয়ে অত্যাধুনিক এসইউভি বলে দাবি করছে এমজি মোটর। শুরু হয়েছে গ্লস্টারের আগাম বুকিং। কেমন গাড়ি এই গ্লস্টার? কী বিশেষত্ব? আসুন দেখে নেওয়া যাক।
১২.৩ ইঞ্চি এইচডি টাচস্ক্রিন ছোটখাট টেলিভিশনের মতো। দুর্দান্ত ডিসপ্লে। ৮ ইঞ্চি ডিজিটাল ডায়াল রয়েছে।
গাড়িটির সেরা সম্পদ এর ভিতরের নকশা। গাড়িটির ইন্টিরিয়রের সর্বত্র চামড়ায় আবৃত। যে কারণে এটা দেখতে অনবদ্য।
তিন সারি আসন রয়েছে গ্লস্টারে। যদিও এক সারি থেকে আর এক সারিতে ঢোকা বেরনে একটু সমস্যার হতে পারে। তবে লেগস্পেস যথেষ্ট। গ্লস্টারে রয়েছে ২.০ টার্বো ডিজেল ইঞ্জিন। ২১৮ বিএইচপি ও ৪৮০ এনএম যুক্ত। ম্যানুয়াল গিয়ার বক্স নেই। স্টিয়ারিং বেশ হাল্কা। গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স অনেক বেশি। গাড়িটির প্রারম্ভিক মূল্য হতে পারে আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা।
সেরা মানের গিয়ার লিভার রয়েছে। এতে গ্লস্টারের নিয়ন্ত্রণ অন্যান্য গাড়ির তুলনায় অনেক ভাল। হার্ড প্লাস্টিক জাতীয় কোনও উপকরণ ব্যবহৃত হয়নি।
পিছনের দিকে দুই প্রান্তে দুটি টেইল পাইপ রয়েছে। গাড়িটি দেখতে স্পোর্টি। তবে মুম্বই বা বেঙ্গালুরুর মতো ভিড়ে ঠাসা শহরের রাস্তায় এর বিশাল আকৃতি সমস্যার কারণ হতে পারে।