Pluto Planet Pics: গবেষক দলে আছেন ভারতীয়রাও, প্লুটোর ভুপৃষ্টে বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ধারণ করলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা

১৬ বছরেরও বেশি সময় আগে গ্রহের মর্যাদা হারিয়েছে প্লুটো। কিন্তু তা সত্ত্বেও প্লুটো নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানীদের আগ্রহ এতটুকু কমেনি। নিরন্তর পর্যবক্ষেণ ও গবেষণা চালানো হচ্ছে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App
ভারত সহ বিভিন্ন দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের একটি দল এবার প্লুটোর ভুপৃষ্টের উপর বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে।

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীতে সমুদ্রপৃষ্টে বায়ুমণ্ডলের যে চাপ থাকে, তার চেয়ে ৮০ হাজার গুণ কম বায়ুর চাপ প্লুটোতে।
২০২০ সালের জুনে উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালের দেবস্থল থেকে ৩.৬ মিটার লম্বা ‘দেবস্থল অপটিক্যাল টেলিস্কোপ’ এবং ১.৩ মিটার লম্বা ‘দেবস্থল ফাস্ট অপটিক্যাল টেলিস্কোপ’-এর মাধ্যমে পর্যবক্ষেণ করে প্লুটোর ভুপৃষ্টে বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর্যভট্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ অবজার্ভেশনাল সায়েন্সেসের বিজ্ঞানীরা বিশেষ প্রযুক্তি ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে প্লুটো পর্যবেক্ষণ করেছেন।
মহাকাশে কোনও একটি বস্তুর সামনে অন্য একটি বস্তু চলে এলে আগের বস্তুটি পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়। ১৯৮৮ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত ১১ বার এই ঘটনা ঘটেছে। মহাকাশ বিজ্ঞানীরা সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে প্লুটোর ভুপৃষ্টে বায়ুমণ্ডলের চাপ নির্ধারণ করেছেন।
২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্লুটোর বায়ুমণ্ডলের চাপ সবচেয়ে বেশি ছিল। সেই সময় অন্য একটি বস্তু প্লুটোকে আড়াল করে দিয়েছিল। যতবার প্লুটো আড়ালে চলে গিয়েছে, ততবারই বায়ুর চাপ বেড়েছে।
মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্যের চারদিকে ঘুরতে প্লুটোর ২৪৮ বছর লাগে। ফলে দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে প্লুটোর বিভিন্ন অংশ হয় আলোকিত, না হয় অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। প্লুটোর বায়ুমণ্ডলে এর প্রভাব পড়ে।
প্লুটোর বায়ুমণ্ডলে পৃথিবীর মতো অক্সিজেন নেই। তার বদলে আছে নাইট্রোজেন। বরফ ও গ্যাসীয় পদার্থ নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ বায়ুমণ্ডলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
২০১৫ সালে নাসার বিজ্ঞানীরা জানান, নাইট্রোজেন বরফই প্লুটোর ভুপৃষ্টে বায়ুমণ্ডলের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -