India's Fevicol Man: পিওনের চাকরি থেকে কয়েক লক্ষ কোটির সাম্রাজ্য, ইনি ভারতের ‘Fevicol Man’
বইয়ের মলাট হোক বা দেওয়ালে চুনকাম, যুগ যুগ ধরে ভারতবাসীর ভরসা হয়ে উঠেছে Fevicol. তবে একদিনে দেশের আশা-ভরসা হয়ে ওঠেনি এই সংস্থা। তিলে তিলে এই Fevicol-কে দাঁড় করিয়েছেন বলবন্তরায় কল্যাণজি পারেখ। -ফাইল চিত্র।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবর্তমানে পৃথিবীর ৫০টি দেশে ব্যবসা রয়েছে Fevicol-এর। ভারতের প্রায় প্রত্যেক গ্রামে রয়েছে তাদের উপস্থিতি। যে কারণে বলবন্তরায়কে ‘India’s Fevicol Man’ও বলা হয়। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
বিত্তশালী, ব্যবসায়ী পরিবারে জন্ম নয় বলবন্তরায়ের। তাঁর হাত ধরেই পরিবারে ব্যবসায়ী প্রজন্মের আবির্ভাব। স্বাধীনতা উত্তর ভারতের বাজারে, ১৯৫৯ সালে Pidilite Industries-এর সূচনা করেন বলবন্তরায়। -ফাইল চিত্র।
আইন নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা বলবন্তরায়ের। কিন্তু ব্যবসার আগ্রহ ছিল গোড়া থেকেই। ইঞ্জিনিয়ার, কাঠশিল্পী এবং হস্তশিল্পীদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। সেই থেকেই আঠার ব্যবসার কথা মাথায় আসে। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
গুজরাতের ভাবনগরে জন্ম বলবন্তরায়ের। জৈন পরিবারের সন্তান। গভর্নমেন্ট ল কলেজ মুম্বই থেকে স্নাতক হন বাবা চেয়েছিলেন ছেলে ম্যাজিস্ট্রেট হোন। কিন্ত বলবন্তরায় বরাবরই ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
একসময় ভারত ছাড়ো আন্দোলনেও অংশ নেন বলবন্তরায়। ছাত্রাবস্থাতেই কান্তাবেনের সঙ্গে বিবাহ হয় তাঁর। তখনও রোজগার করতেন না নিজে। তাই সমস্যা দেখা দেয়। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
সংসার চালাতে তাই ডাইং এবং প্রিন্টিং প্রেসে কাজ জোটান প্রথমে বলবন্তরায়। এর পর এক কাঠ ব্যবসায়ীর সংস্থায় পিওনের চাকরি নেন। কাঠের গুদামের এক কোণেই শোওয়া-খাওয়া ছিল তাঁর। সেখান থেকেই লোকজনের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু। আমদানি-রফতানি দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয়। ছবি: সংগৃহীত।
এর পর একটি সংস্থায় কর্মরত থাকাকালীন জার্মানি যাওয়ার সুযোগ হয় বলবন্তরায়ের। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের মৃত্যুর পর ভাই সুশীল পারেখকে নিয়ে ডাই এবং কেমিক্যাল ইউনিট গড়ে তোলেন নিজের।নাম রাখেন পারেখ ডাইকেম ইন্ডাস্ট্রিজ। সেখানে টেক্সটাইল প্রিন্টিং এবং অ্যাক্রিলিক বেসড ডাইয়ের কাজ শুরু করেন তাঁরা। ছবি: সংগৃহীত।
এর পর ভারতের বাজারে আঠার গুরুত্ব অনুধাবন করেন বলবন্তরায়। অ্যানিম্যাল ফ্যাট দিয়ে তৈরি আঠার রমরমা তখন বাজারে। সেইসময় সাদা আঠা Fevicol-এর ভাবনা আসে তাঁর মাথায়। ১৯৫৯ সালে Pidilite Industries Private Limited-এর প্রতিষ্ঠা। ছবি: সংগৃহীত।
জার্মানির একটি আঠা প্রস্তুতকারী সংস্থার নাম ছিল Movicol. সেখান থেকেই Fevicol নামের অনুপ্রেরণা পান বলবন্তরায়। Col শব্দের অর্থ যা দু’টি বস্তুকে বেঁধে রাখে।ভাঙা বাসন থেকে কাঠের টুকরো, Fevicol সবক্ষেত্রেই উপযোগী হয়ে ওঠে সময়ের সঙ্গে। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
পরবর্তী কালে Fevikwik, Dr. Fixit, M-Seal নামের একাধিক পণ্যও বাজারে আনে বলবন্তরায়ের সংস্থা।২০০৬ সালে আমেরিকা, তাইল্যান্ড দুবাই, মিশর, বাংলাদেশে ব্যবসার প্রসার ঘটে।Fevicol-এর বিজ্ঞাপনও নজর কাড়ে সাধারণ মানুষের।-ফাইল চিত্র।
২০২০ সালে বাজারে Pidilite Industries-এর মূল্য ছিল ৪৪.৬৫ বিলিয়ন ডলার ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা। গুজরাতে আর্টস অ্যান্ড সায়েন্স কলেজ স্থাপনের নেপথ্যে রয়েছেন বলবন্তরায়। ভাবনগর প্রকল্পে ১৬০ কোটি টাকার বেশি দান করেন। ২০১৩ সালে ৮৮ বছরে প্রয়াত হন বলবন্তরায়। তাঁর ছেলে মধুকর বলবন্তরায় পারেখ এখন সংস্থা সামলান। এশিয়ার ১৬তম ধনী ব্যক্তি মধুকর। ছবি: সংস্থার ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -