Mahasweta Devi Birthday: অদম্য জীবনীশক্তি, জন্মদিনে ফিরে দেখা মহাশ্বেতাকে
তাঁর ক্ষুরধার কলম থেমে গিয়েছে আগেই। কিন্তু সাহিত্যপ্রেমীদের মনে চিরকাল থেকে যাবেন তিনি। লেখনীর স্বতন্ত্রতাই অনেকের মধ্যে অন্যতম করে তুলেছিল মহাশ্বেতা দেবীকে। জন্মদিনে ফিরে দেখা তাঁকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯২৬ সালে ঢাকায় জন্ম। বাবা মণীশ ঘটক ছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক। মা ধরিত্রী দেবীর লেখাও প্রশংসিত ছিল। কাকা ঋত্বিক ঘটক বিশ্ববরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক।
বাংলা ভাগের পর পশ্চিমবঙ্গে চলে আসে ঘটক পরিবার। ছোটবেলায় ‘গেছো’ মেয়েই ছিলেন তিনি। গাঠে ওঠা, লাঠিখেলা, কিছুই বাদ দেননি। আবার অভাবের সংসারে সাবানও বিক্রি করেছেন। ইংরেজি ভাষা নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন মহাশ্বেতা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতেই স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা সারেন।
আইপিটিএ আন্দোলনের পুরোধা তথা নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ে হয় মহাশ্বেতা দেবীর। তাঁদের সন্তান সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য। ১৯৫৯ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় মহাশ্বেতা দেবীর।
ম হাশ্বেতা দেবীর লেখার বড় অংশ জুড়ে আদিবাসী মানুষ। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের নানা আন্দোলনের কেন্দ্র ছিলআদিবাসী অঞ্চল। ওই সময়েই আদিবাসী জীবনের সঙ্গে সংযোগ গড়ে ওঠে তাঁর। পরবর্তী এক দশকে তা নিবিড় থেকে নিবিড়তর হয়ে ওঠে। তার ফলস্বরূপই ১৯৭৫-এ একটি পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয় ‘অরণ্যের অধিকার’।
বাংলায় সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়ে আদিবাসীদের জন্য দীর্ঘ সময় কাজ করেছেন তিনি। আদিবাসী পত্রিকা ‘বর্তিকে’-র সম্পাদকও ছিলেন।
শবরদের জন্য বরাবরই সমব্যথী ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। তার জন্য ‘শবর জননী’ হিসেবে পরিচিতি পান। ক্ষমতাশালীদের হাতে শোষণের শিকার উপজাতিদের কথাই বার বার ঘুরে ফিরে এসেছে তাঁর লেখায়। মহাশ্বেতার বক্তব্য ছিল, প্রকৃত ইতিহাস তৈরি হয় সাধারণ মানুষকে নিয়েই।
মহাশ্বেতার লেখার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ‘ঝাঁসির রানি’, ‘হাজার চুরাশির মা’, ‘রুদালি’।
২০২১ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি পাঠ্যক্রম থেকে আচমকা বাদ পড়ে মহাশ্বেতা দেবীর ছোটগল্প ‘দ্রৌপদী’। ১৯৯৯ সাল থেকে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত ছিল গল্পটি।
দীর্ঘ কর্মজীবনে ‘সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার’, ‘জ্ঞানপীঠ পুরস্কার’, ‘রামন ম্যাগসেসে পুরস্কার’ পেয়েছেন মহাশ্বেতা দেবী। সামাজিক কাজকর্মের জন্য পেয়েছেন ‘পদ্মশ্রী’, ‘পদ্মবিভূষণ’ ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানও। সাহিত্যকর্মে নোবেলের জন্যও মনোনীত হন মহাশ্বেতা দেবী।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -