Atopic Dermatitis: কী কারণে হয় একজিমা? সারানোর উপায় কী?
একজিমা এমন একটি চর্মরোগ যা ত্বককে লাল করে তোলে। ত্বকে জ্বালা করে এবং চুলকানি হয়। বাচ্চাদের ত্বকে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়, তবে যে কোনও বয়সেই এটা হতে পারে। একবার একজিমা হলে তা সহজে সারতে চায় না। দীর্ঘদিন ভোগায় এই রোগ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appশরীরের বিভিন্ন জায়গাতেই হতে পারে এই চর্মরোগ। এর সঙ্গে হাঁপানি, জ্বরও হতে পারে।
এখনও পর্যন্ত একজিমা ঠেকানোর কোনও উপায় খুঁজে বের করতে পারেননি চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তবে এই রোগ হলে চিকিৎসা করা হয়। চিকিৎসার ফলে চুলকানি ও ত্বক লাল হয়ে যাওয়া ঠেকানো যায়।
চিকিৎসকদের পরামর্শ, একজিমা এড়ানোর জন্য শক্ত জাতীয় সাবান ব্যবহার না করাই ভাল। নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম বা অয়েনমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। ত্বক সবসময় পরিষ্কার রাখতে হবে। গরম জলে স্নান করাই ভাল। ১০-১৫ মিনিটের বেশি স্নান করা উচিত নয়।
একজিমার লক্ষণ হল ত্বক শুকনো হয়ে যাওয়া, জ্বালা করা বা চুলকানি হওয়া। বিশেষ করে রাতে বেশি চুলকানি হতে পারে। বেশি চুলকোলে ছোট ছোট গুটি হয়।
একজিমা হলে হাত, পায়ের পাতা, গোড়ালি, কবজি, গলা, বুক, চোখের পাতা, কনুই ও হাঁটু, বাচ্চাদের ক্ষেত্রে মুখ ও মাথায় লাল বা বাদামি ছোপ পড়ে। চামড়া পুরু হয়ে যায়, জায়গায় জায়গায় ফেটে যায়।
সাধারণত পাঁচ বছর বয়স থেকে একজিমা শুরু হয়। বয়ঃসন্ধি বা তার পরেও হতে পারে এই রোগ। কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাঝে মধ্যে একজিমা সেরে যায়, কিন্তু আবার কিছুদিন পরে ফিরে আসে।
ত্বকে অতিরিক্ত সমস্যা হলে, চুলকানির জেরে ঘুম বা প্রাত্যহিক কাজকর্ম নষ্ট হলে, দীর্ঘদিন ধরে উপসর্গ থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বাচ্চাদের যদি শরীরের বিভিন্ন অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে এবং জ্বর থাকে, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
চিকিৎসকদের মতে, জিনগত কারণে একজিমা হতে পারে। ত্বকে যদি ব্যাকটেরিয়া থাকে, কোনও কারণে অ্যালার্জি হয়, তাহলেও হতে পারে এই রোগ। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খাবারে অ্যালার্জির কারণেও হতে পারে একজিমা।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -