Bhagat Singh: এখনও পাথেয় তাঁর আদর্শ, আজ জন্মদিন শহিদ ভগৎ সিংহের
বাংলা থেকে পঞ্জাব, দেশকে স্বাধীন করতে নিজেদের প্রাণ অবলীলায় ত্যাগ করেছিলেন অগ্নিযুগের অজস্র বিপ্লবী। তাঁদের অনেকের নামই ইতিহাসের গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। আবার কেউ কেউ পরিণত হয়েছেন চিরন্তন জ্যোতিষ্কে। যাঁরা এখনও নিঃস্বার্থ ভাবে দেশসেবার জন্য অনুপ্রেরণা জোগান। তাঁদেরই মধ্যে একজন ভগৎ সিংহ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বাধীনতা আন্দোলনের অবিস্মরণীয় যোদ্ধা ভগৎ সিংহ মাত্র ২৩ বছর বয়সে ফাঁসির দড়ি পরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। আজ তাঁর জন্মদিন।
১৯০৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত ভারতের পঞ্জাবের বাঙ্গা গ্রামে (অধুনা পাকিস্তানের অংশে) জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাবার নাম কিষাণ সিংহ, মায়ের নাম বিদ্যাবতী। ব্রিটিশ বিরোধিতার সূত্রপাত ঘটেছিল ছোটবেলা থেকেই।
জালিওয়ানা বাগে ইংরেজরা যখন হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল তখন ভগৎ সিংহের বয়স বারোর আশেপাশে। তখন থেকেই ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হয়েছিল ঘৃণা। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে ফেলেছিলেন নিজেকে।
সাইমন কমিশন বিরোধী আন্দোলনের সময়ে পুলিশের নৃশংস আক্রমণে লাঠির আঘাতে মারা গিয়েছিলেন স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম নেতা লালা লাজপৎ রাই। তাঁর মৃত্যুই যেন জমে থাকা ক্ষোভের সলতেতে আগুন দিয়েছিল। সেই হত্যাকাণ্ডের বদলা নিতে শপথ নেন তাঁরা।
লালার মৃত্যুর জন্য দায়ী পুলিশ অফিসার জেমন স্কটকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন ভগৎ সিংহ, সুখদেব, রাজগুরু। কিন্তু হত্যা করে ফেলেছিলেন আরেক পুলিশ অফিসার জেপি সন্ডার্সকে।
ব্রিটিশ পুলিশ জন সন্ডার্সকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার হন এই তিন বিপ্লবী। অকথ্য অত্যাচারও টলাতে পারেনি তাঁদের। জেলে বসেই ভগৎ সিংহ ডুবে গিয়েছিলেন পড়াশোনায়। চলছিল লেখালিখিও।
২৩ মার্চ বিচারের আগেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারা হয় ভগৎ সিংহ এবং তাঁর সঙ্গীদের। বিক্ষোভের ভয়ে রাতে জেলের দেওয়াল ভেঙে বের করা হয়েছিল দেহ। পরিবারের হাতে না তুলে দাহ করে আরও দূরে ফেলা হয় চিতাভস্ম।
দেহ নশ্বর। কিন্তু মৃত্যুও হারাতে পারেনি ভগৎ সিংহের চেতনা, তাঁর শিক্ষাকে। তাঁর লেখা, তাঁর জীবনী এখনও পাথেয় এ দেশের যুবসমাজের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -