COVID in China: ডিসেম্বরেই ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে মৃত্যু, চিনে করোনায় দৈনিক ৯ হাজার প্রাণহানি!
বছর তিনেক আগে সেখানেই প্রথম হদিশ মেলে অতিমারির ভাইরাসের। আবারও নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে চিনে। সেই আবহে চিন নিয়ে আরও উদ্বেগজনক খবর সামনে এল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএই মুহূর্তে চিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে দৈনিক প্রায় ৯ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন বলে দাবি সামনে এল। ব্রিটেনের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নজরদারি সংস্থা Airfinity এমনই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে।
Airfinity সংস্থার দাবি, আপাতত দৈনিক ৯ হাজার মৃত্যুর সাক্ষী হচ্ছে চিন। এই সংখ্যা বেড়ে দৈনিক ২৫ হাজার হতে পারে। ২০২৩-এর এপ্রিল নাগাদ চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৭ লক্ষে গিয়ে ঠেকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানায়, সেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৫৫০ জন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার পরই Airfinity জানাল, দৈনিক মৃতের সংখ্যা আরও বেশি।
এক সময় নিয়মিত দৈনিক করোনা পরিসংখ্যান প্রকাশ করত চিন। কিন্তু নতুন করে সংক্রমণ মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকে তা কার্যত বন্ধ ছিল। তাতে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ আরও বাড়ছে।
যদিও, চিনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশনের মুখপাত্র জিয়াও ইয়াহুই যদিও পরিসংখ্যানে গরমিলের কথা স্বীকার করে নেন সম্প্রতি। তবে ইচ্ছাকৃত ভাবে নয়, উপসর্গহীন রোগীদের শনাক্ত করতে না পারাতেই তাঁরা হিসেবের বাইরে থেকে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বিশ্বের একাধিক দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে কারও মৃত্যু হলে, তাঁকে কোভিডে মৃত হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু চিনে কোভিড আক্রান্ত যে সমস্ত রোগী শ্বাসকষ্টে মারা যাচ্ছেন, শুধু মাত্র তাঁদেরই কোভিড পরিসংখ্যানে রাখা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, চলতি শীতকালেই চিনের গ্রামাঞ্চলগুলিতে করোনা দাবানলের আকারে ছড়িয়ে পড়বে। Airfinity-র দাবি, ডিসেম্বরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত চিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে।
চিনে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য যদিও সরকারি নীতিকেই দায়ী করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করে মানুষের বাইরে বেরনো বন্ধ ছিল দীর্ঘ সময়। ফলে সাধারণ মানুষের শরীরে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়নি, অর্থাৎ রোগের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার অবকাশ পাননি তাঁরা।
দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষোভ জমা হতে হতে মানুষ রাস্তায় প্রতিবাদে নামেন। তাতে কোণঠাসা হয়ে সরকার আচমকা বিধিনিষেধ তুলে নেয়। তাতে সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়ে, যা প্রতিহত করতে পারেননি রোগ প্রতিরোধ শক্তিহীন মানুষ জন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -