Bharat Jodo Yatra: পায়ে পায়ে এগিয়ে চলা, রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় প্রিয়ঙ্কা, সঙ্গে স্বামী-ছেলেও
শেষ কবে এতবড়, এত দীর্ঘ পদযাত্রা দেখেছেন মনে করতে পারছেন না অনেকেই। তাই গেরুয়া দাপটের মধ্যেও কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ নজর কাড়ছে। এ বার তাতে বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরাকেও পাশে পেলেন রাহুল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবুধবারই মহারাষ্ট্র থেকে মধ্যপ্রদেশে প্রবেশ করেছে রাহুলের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’। বৃহস্পতিবার এই যাত্রা ৭৮ দিনে পড়ল। আর এ দিনই রাহুলের সঙ্গে পদযাত্রায় শামিল হলেন প্রিয়ঙ্কা।
অতি সম্প্রতি কংগ্রেসের নেতৃত্ব থেকে সরে গিয়েছেন গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। দীর্ঘ দিন পর কংগ্রেস খাতায়-কলমে নেহরু-গান্ধী নেতৃত্বহীন। তবে দলের নেতৃত্বে না থাকলেও, কংগ্রেসের পদযাত্রা এগিয়েছে রাহুলের নেতৃত্বেই।
পদযাত্রায় যোগ দিতে বুধবারই ইন্দৌর পৌঁছে যান প্রিয়ঙ্কা। তবে একা দাদার পাশে গিয়ে দাঁড়াননি তিনি। স্বামী রবার্ট বঢরাও রয়েছেব সঙ্গে। পদযাত্রায় রয়েছেন প্রিয়ঙ্কার ছেলে রায়হানও। রয়েছেন বর্ষীয়ান নেতা কমলনাথও।
এ দিন প্রিয়ঙ্কা পদযাত্রায় যোগ দেওয়ার পর ভাইবোনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কংগ্রেস। তাতে লেখা হয়, ‘হৃদয় জুড়তে জুড়তে আরও একটি দিন। আমরা হাঁটছি, যাতে আগামী প্রজন্মের ভারত ঘৃণামুক্ত থাকতে পারে’।
এ দিন আরও একটি বিষয় নজর কেড়েছে সকলের, যা হল রাহুলের পাশে পদযাত্রায় সচিন পায়লটের উপস্থিতি। অশোক গহলৌত এবং তাঁর দ্বৈরথে রাজস্থান কংগ্রেসে সঙ্কটকাল চলছে। সেই আবহে রাহুলের পাশে তাঁর দেখা মেলাকে ইঙ্গিতবহ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সূচনা করেন রাহুল। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর পর্যন্ত ৩ হাজার ৫৭০ কিলোমিটার পথ হেঁটে পেরোবেন রাহুল।
একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হাতছাড়া হলেও, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই, জনসংযোগ বাড়াতে, বিমুখ কর্মী-সমর্থকদের মনে আবেগ সঞ্চার করতেই রাহুলের এই পদযাত্রা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মধ্যপ্রদেশের পর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ প্রবেশ করবে কংগ্রেসশাসিত রাজস্থানে। গহলৌত এবং সচিনের দ্বন্দ্ব নিয়ে সেখানে উত্তাপ রয়েছে দলের অন্দরে। তাই রাহুলের আগমনে গহলৌতের প্রতিক্রিয়ার দিকেও তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
কারণ রাহুলের ‘এক নেতা, এক পদ’ নীতির বিরুদ্ধে গিয়েই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ ধরে রেখে কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার দৌড়ে নাম লেখান গহলৌত। তাঁর জায়গায় পায়লটকে রাজস্থানের কুর্সিতে বসানো হতে পারে জেনেই তিনি শেষমেশ পিছিয়ে যান বলে জানা যায়।
তবে রাহুলের এই পদযাত্রা, যত না কংগ্রেসের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা, তার চেয়ে ঢের বেশই নেতা হিসেবে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণের লড়াই বলেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। এর আগে পদযাত্রায় মা সনিয়া গান্ধীর জুতোর ফিতে বেঁধে দিতেও দেখা যায় রাহুলকে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -