New Parliament: একা মোদির ব্যবহারের জন্য আলাদা ‘গজদ্বার’, বাড়ল সাংসদদের আসনসংখ্যাও, নতুন সংসদভবনের যাত্রার সূচনা
স্বাধীনতাপ্রাপ্তিতে মধ্যরাতের ভাষণ দিয়েছিলেন জওহরলাল নেহরু। দেশের সংবিধানও গৃহীত হয় সেখানে। এবার যাত্রা শেষ হল পুরনো সংসদভবনের। নতুন সংসদভবন হিসেবে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে তৈরি নির্মাণে সরকারি সিলমোহর পড়ল। নাম হল, ‘পার্লামেন্ট হাউস অফ ইন্ডিয়া’।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজায়গায় কুলোতে না পেরেই নতুন সংসদভবনের নির্মাণে হাত দেয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। তাতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ে ৮৩৬ কোটি টাকা। আকারে ত্রিকোণ সংসদভবনের প্রবেশদ্বার মোট ছ’টি। প্রাচীন ভারতীয় ভাস্কর্যের ছোঁয়া রয়েছে তাতে।
এর মধ্যে একটি প্রবেশদ্বারের নাম ‘গজদ্বার’। জ্ঞান, উন্নতি, অর্থ, বৃদ্ধি, স্মৃতি এবং আকাঙ্খার প্রতীক সেটি। সেখানে ঢোকার মুখে পাথরের তৈরি দু’টি হাতি বসানো রয়েছে। ওই ‘গজদ্বার’ দিয়ে ঢুকেই নতুন সংসদভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই প্রবেশদ্বার একমাত্র প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্যই বরাদ্দ।
প্রবেশদ্বার মকর দিয়ে ঢুকবেন বাকি সাংসদরা। বিভিন্ন প্রাণীর অঙ্গের সংমিশ্রণ চোখে পড়ে সেখানে। বিবিধের মাঝে মিলন মহানের বার্তাই তুলে ধরা হয়েছে তাতে। কর্নাটকের হোয়সলেসবরা মন্দির থেকে অনুপ্রাণিত এই প্রবেশদ্বার।
এ ছাড়াও নতুন সংসদভবনে অশ্ব, গরুড়, শার্দুল এবং হংসদ্বারও রয়েছে।এর মধ্যে অশ্ব ধৈর্য, শক্তি এবং গতির প্রতীক। শাস্ত্রীয় মতে, আশা, জয় এবং সাফল্যের প্রতীক গরুড়। শার্দুল তেজ এবং বিজয়ের প্রতীক। হংস শান্তি এবং সদ্ভাবের প্রতীক। হংসদ্বার দিয়ে নতুন সংসদভবনে ঢুকতে পারবেন সাংবাদিকরা।
নতুন সংসদভবনের অন্যতম আকর্ষণ হল ফুকোর পেন্ডুলাম।সংবিধান হলের, স্বচ্ছ ও ত্রিকোণ ছাদ থেকে ঝুলছে সেটি। ব্রহ্মাণ্ডের সঙ্গে ভারতের সংযোগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এর মাধ্যমে। পৃথিবীর আহ্নিক গতিকে তুলে ধরে পেন্ডুলাম। ৪৯ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট ১৮ সেকেন্ডে একবার আবর্তিত হয় পেন্ডুলামটি। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর সায়েন্স মিউজিয়াম সেটি তৈরি করেছে।
ভারতের বহুত্ববাদী ভাবনা নতুন সংসদভবনে প্রতিফলিত হয়েছে বলে জানান নরেন্দ্র মোদি। রাজ্যসভার কক্ষে দেশের জাতীয় ফুল পদ্মকে তুলে ধরা হয়েছে। নতুন সংসদভবন চত্বরে রয়েছে একটি বটগাছও, দেশের জাতীয় বৃক্ষ।রাজস্থান থেকে আনা গ্রানাইট এবং বেলেপাথরে তৈরি করা হয়েছে সংসদভবন। কাঠের যাবতীয় কাজ হয়েছে মহারাষ্ট্রে। কার্পেট বুনেছেন উত্তরপ্রদেশের শিল্পীরা।
নতুন সংসদভবনের আসনসংখ্যাও বৃদ্ধি করা হয়েছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি, লোকসভায় ৮৮৮ সদস্যের বসার জায়গা রয়েছে, যা আগের লোকসভার তুলনায় তিন গুণ বেশি। রাজ্যসভায় ৩৮৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন। সংবাদমাধ্যমনের জন্য রয়েছে ৫৩০ আসন।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে দিল্লি। নতুন সংসদভবনের নির্মাণ এমন ভাবে হয়েছে যে, তীব্র ভূমিকম্পেও তার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। এর পাশাপাশি সাংসদদের জন্য রয়েছে লাউঞ্জ, ডাইনিং হল এবং গ্রন্থাগার। পুরনো এবং নতুন সংসদভবনের ঠিক মাঝে ব্রোঞ্জের তৈরি, ১৬ ফুটের গাঁধীমূর্তিটি রয়েছ, যা কিনা ১৯৯৩ সালে বসানো হয়েছিল।
ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে দিল্লি। নতুন সংসদভবনের নির্মাণ এমন ভাবে হয়েছে যে, তীব্র ভূমিকম্পেও তার উপর কোনও প্রভাব পড়বে না। এর পাশাপাশি সাংসদদের জন্য রয়েছে লাউঞ্জ, ডাইনিং হল এবং গ্রন্থাগার। পুরনো এবং নতুন সংসদভবনের ঠিক মাঝে ব্রোঞ্জের তৈরি, ১৬ ফুটের গাঁধীমূর্তিটি রয়েছ, যা কিনা ১৯৯৩ সালে বসানো হয়েছিল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -