Gandhi Jayanti 2023 : বিশ্বের ১০১ রাস্তা, একমাত্র ভারতীয় হিসেবে টাইম ম্যাগাজিনের ম্যান অফ দ্য ইয়ার শিরোপা, অজানা-অচেনা গান্ধী
জাতির জনক। মহাত্মা। বাপু। অহিংস আন্দোলনের প্রতীক। মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। আজ ২ অক্টোবর। দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে মহাত্মা গান্ধীর (Mahatma Gandhi) ১৫৫ তম জন্মদিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appস্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদানের ইতিহাস আজও দেশ থেকে বিদেশ জুড়ে বহমান। বিশেষ দিনটিকে স্মরণে রাখতে তাই বিশ্বজুড়ে দিনটি আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে।
প্রবল আত্মবিশ্বাসকে সঙ্গী করে অহিংস পথে নিজের দাবি ছিনিয়ে নেওয়ার যে রাস্তা দেশকে শিখিয়ে তিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন, সে শিক্ষার পাঠ আজও বিভিন্ন শিক্ষাঙ্গনে দেওয়া হয়ে থাকে। বিশ্ব যাঁর পথ-মতকে পাথেয় করে অহিংসার জন্য তিনি অবশ্য পাননি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার (Nobel Peace Prize)।
তবে একবার, দুবার নয়, পাঁচ-পাঁচবার বিশেষ যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন তিনি। জাতির জনকের জন্মদিনে রইল তাঁকে ঘিরে নানা জানা-অজানা তথ্য।
গুজরাতের পোরবন্দরে ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্ম নিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তথা বিশ্বজুড়ে বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া মানুষদের অধিকারের জন্য অহিংস পথে লড়াই করে দাবি আদায়ের এক অনন্য পথ বিশ্বকে শিখিয়েছিলেন তিনি।
তাঁর জীবনধারা ও লড়াইকে সম্মান জানিয়েই ২০০৭ সালে ইউনাইটেড নেশনেস-র তরফে দিনটিকে ঘোষণা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস (International Day of Non-Violence) হিসেবে।
মহাত্মা গান্ধীর নামে বিশ্বজুড়ে রয়েছে ১০১ টি রাস্তা। ভারতের বিভিন্ন অংশ জুড়ে ৫৩ টি ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আরও ৪৮ রাস্তা রয়েছে মহাত্মা গান্ধীর নামে। যাঁর কথায়, 'চোখের বদলে চোখ নিলে তো গোটা বিশ্বই একদিন অন্ধ হয়ে যাবে।'
মহাত্মা গান্ধীই একমাত্র ভারতীয় যিনি পেয়েছেন টাইম ম্যাগাজিনের ম্যান অফ দ্য ইয়ার শিরোপা (Time Magazine's Man of the Year)। ১৯৩০ সালে। প্রথম জীবনে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করার সময়ে সেখানকার কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের হয়ে লড়াই করেছিলেন তিনি।
পরে দেশে ফিরে রাজনীতিতে যোগ দিয়ে অহিংস পথে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াই। যে অবদানের জন্যই তাঁকে মহাত্মা উপাধী দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore)। তাঁর অহিংস পথে আন্দোলনের গুণমুগ্ধ ছড়িয়ে গোটা বিশ্বে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ফোর্ড মোটরসের কর্ণধার হেনরি ফোর্ড।
ব্রিটিশদের শাসিত দেশের বাসিন্দা হলেও মহাত্মা গান্ধী যখন ইংরেজি বলতেন, তাতে শোনা যেত আইরিশ টান। জানা যায়, ছোটবেলায় তাঁর এক শিক্ষক ছিলেন আইরিশ। যার সুবাদেই মহাত্মার ইংরেজিতেও জুড়ে গিয়েছিল যে টান।
১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি মৃত্যু হয় মহাত্মার। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল। নাথুরাম গডসের (Nathuram Godse) গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। শেষ হয়েছিল এক অধ্যায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -