Dwarka Submarine Tourism: শ্রী কৃষ্ণের হাতে তৈরি, আপনা থেকেই ডুব জলে! প্রাচীন দ্বারকা নগরীতে সাবমেরিন পর্যটন
প্রযুক্তির দৌলতে অসম্ভবও এখন সম্ভবে পরিণত হয়েছে। সেই ধারা বজায় রেখে এবার জলের নিতে পর্যটন ব্যবসায় উদ্যত হল গুজরাত সরকার। জলের নিচে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন দ্বারকা নগরী দর্শনের ব্যবস্থা করতে চলেছে তারা। ছবি: ফ্রিপিক ও ডিডি নিউজ।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appজলে নিমজ্জিত দ্বারকা নগরীকে ঘিরে গুজরাত সরকারই দেশের প্রথম সাবমেরিন কেন্দ্রীক পর্যটন গড়ে তুলতে চলেছে। সেই নিয়ে মাজগাঁও ডক লিমিটেড সংস্থার সঙ্গে চুক্তিও হয়েছে তাদের। ২০২৪ সালের দীপাবলিতেই জলের নিচে এই পর্যটনের সূচনা ঘটানোর লক্ষ্য রয়েছে। এর আওতায় সমুদ্রের নিচের জগৎ কাছ থকে দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। ছবি: ফ্রিপিক ও ডিডি নিউজ।
আটলান্টিক মহাসাগরের নিচে ‘টাইটানিক’ জাহাজের ধ্বংসাবশেষকে ঘিরেও এমন পর্যটন গড়ে উঠেছে। গত বছর জুন মাসে সেখানে মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। ‘টাইটান’ সাবমার্সিবলে চেপে ‘টাইটানিকে’র ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে বেঘোরে মৃত্যু হয় পাঁচ পর্যটকের। ‘টাইটানিকে’র ধ্বংসাবশেষ ঘিরে গড়ে ওঠা পর্যটন থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই দ্বারকা নগরীকে ঘিরে এমন উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। ছবি: ডিডি নিউজ।
গুজরাতে দ্বারকা নগরীর পৌরাণিক গুরুত্ব রয়েছে। কথিত আছে, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ সেখানকার বাসিন্দা। দ্বারকার রাজা ছিলেন না শ্রী কৃষ্ণ, তবে দ্বারকার পত্তন তাঁর হাতেই। সমুদ্রের দেবতার কাছে দ্বারকা নগরীর জন্য পরামর্শ চেয়েছিলেন শ্রী কৃষ্ণ। সেই মতো শ্রী কৃষ্ণকে দ্বারকা নগরী তৈরির জন্য জমি দেন সমুদ্রের দেবতা। প্রথমে জায়গাটির নাম ছিল কুশস্থলী। শ্রী কৃষ্ণ সেটি পাল্টে নয়া নামকরণ করেন দ্বারকা নগরী। ছবি: ফ্রিপিক।
কথিত রয়েছে, দ্বারকা নগরীর নির্মাণে স্বর্গীয় ভাস্কর্যের ছোঁয়া ছিল। সেটিকে ‘গোল্ডেন সিটি’ বা ‘স্বর্ণনগরী’ বলা হতো। শ্রী কৃষ্ণের উপস্থিতিই দ্বারকা নগরীকে সমৃদ্ধ করে তুলেছিল। বহু দূর থেকেও মানুষজন ছুটে আসতেন দ্বারকা নগরীতে। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, শ্রী কৃষ্ণ যখন মর্ত্যলোক থেকে স্বর্গে পাড়ি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দ্বারকা নগরী জলে তলিয়ে যায়। শ্রী কৃষ্ণের প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গেই দ্বাপর যুগের সমাপ্তি ঘটে কলিযুগের সূচনা হয়। কলিযুগ যাতে দেখতে না হয়, বাসিন্দাদের নিয়েই তলিয়ে যায় দ্বারকা নগরী। ছবি: ফ্রিপিক।
আদৌ দ্বারকা নগরীর অস্তিত্ব ছিল, নাকি গোটাটাই কাল্পনিক, সেই নিয়ে যদিও মতভেদ রয়েছে। ইতিহাসবিদদের মতে, দ্বারকা নগরী আসলে রূপক। আসলে গুজরাতের সমুদ্র লাগোয়া জায়গায় একটি বন্দর-শহর ছিল প্রাচীন কালে। উপকূলের মাটির ক্ষয় হতে হতে একসময় ডলের নিচে তলিয়ে যায় সেটি। ছবি: ফ্রিপিক।
তবে মতভেদ থাকলেও, দ্বারকা নগরী নিয়ে কৌতূহল বরাবরই। একাধিক প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানও চালানো হয় জলের নিচে, তাতে বেশ কিছু নির্মাণের টুকরো, ভেঙে পড়া দেওয়ালের অংশ উদ্ধার হয়। মাটির পাত্র, মূর্তিও উদ্ধার হয় জলের তলা থেকে। ছবি: ফ্রিপিক।
জলের নিচে ওই ধ্বংসস্তূপকে ঘিরে কৌতূহলের শেষ নেই এখনও। গুজরাতের দেবভূমি দ্বারকা জেলায়, গোমতী নদীর দক্ষিণ তীরে, অরব সাগরের সঙ্গে মোহনায় দ্বারকা নগরীর অবস্থান ছিল বলে মনে করা হয়। সেখানে দ্বারকাধীশ মন্দিরও রয়েছে, যা শ্রী কৃষ্ণকে উৎসর্গ করা হয়েছে। ছবি: পিক্সাবে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে চারধামের মধ্যে অন্যতম হল এই দ্বারকাধীশ মন্দির, আরব সাগরের বুক ফুঁড়ে সেটি আবির্ভূত হয়েছে বলে বিশ্বাস করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একাংশ। শ্রী কৃষ্ণের পৌত্র বজ্রনাভ সেটি ২৫০০ বছর আগে নির্মাণ করেন বলে বিশ্বাস তাঁদের।পরবর্তী কালে সেটির সংস্কার করেন আদি শঙ্করাচার্য। ছবি: ফ্রিপিক।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -