World Television Day 2023:টানটান ম্যাচ থেকে রুদ্ধশ্বাস ফিল্ম, আজও ভরসা টিভি! নজরে ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন ডে
নিন্দুকেরা বলেন, ল্যাপটপ ও তারপর মোবাইল এসে টেলিভিশনের বাজার অনেকটা দখল করেছে। কথাটা খানিক সত্যিও বটে। কিন্তু একবার বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালের কথা ভেবে দেখুন তো? গত কাল মোবাইল-ল্যাপটপ নাকি টেলিভিশন, কোনটায় ম্যাচ দেখতে বেশি স্বচ্ছন্দ্য ছিলেন?
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appপরিসংখ্যান হয়তো ল্যাপটপ ও মোবাইলের জনপ্রিয়তার কথাই বলবে। কিন্তু পাশাপাশই একথাও উঠে আসছে, যে কিছু ক্ষেত্রে টেলিভিশন এখনও দর্শকদের প্রথম পছন্দ। যেমন, পারিবারিক অনুষ্ঠান দেখার ক্ষেত্রে বা ওটিটি শো বা ম্যাচ বড় স্ক্রিনে স্ট্রিমিং করতে হলে, টিভি-ই উপায়।
তবে একটা সময় ছিল, যখন টেলিভিশন এককথায় বিপ্লব এনে দিয়েছিল সাধারণের ঘরে। সম্প্রচারমাধ্যমে এর জনপ্রিয়তা আজও ফেলে দেওযার নয়। সেই টেলিভিশনের ভূমিকার কথা মাথায় রেখেই প্রতি বছর, ২১ নভেম্বর ওয়ার্ল্ড টেলিভিশন দিবস পালন করা হয়।
১৯২৭ সালে প্রথম বৈদ্যুতিন টেলিভিশন তৈরি করেছিলেন, মার্কিন আবিষ্কারক, ফিলো টেলর ফারন্সওয়ার্থ। ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় দিনটি বিশ্ব টেলিভিশন দিবস হিসেবে গৃহীত হয়।
ওই বছরই, ২১ ও ২২ ডিসেম্বর, প্রথম বিশ্ব টেলিভিশন ফোরাম আয়োজন করে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা। সাধারণ মানুষের জীবনে এই যন্ত্রের ঠিক কতটা গুরুত্ব রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হয় দিনটিতে।
এখন বিশ্বজুড়ে, মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে টিভি। তথ্য থেকে বিনোদন, এমনকি হালের ইনফোটেনমেন্ট, সব কিছুর সুলুকসন্ধান পাওয়া যায় এখানে।
শুধু তাই নয়। এই যন্ত্রের উপযোগিতা এবং খারাপ দিক, দুটোই প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে এটিকে ব্যবহার করা হয়েছে বার বার। এককথায়, পৃথিবীকে কাছাকাছি আনতে দুরন্ত কাজে দিয়েছে টেলিভিশন।
মোবাইল-যুগে ফ্রি ইন্টারনেটের সঙ্গে লড়াইয়ে হয়তো সে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু এখনও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। টানটান ম্যাচ হোক বা রুদ্ধশ্বাস কোনও ফিল্ম অথবা পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভিডিও, সব কিছুর সমাধান আছে টেলিভিশনে। সেই যন্ত্রের উদযাপন আগামীকাল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -