Yellow Fungus : চিন্তা বাড়াচ্ছে ইয়েলো ফাঙ্গাস, উপসর্গ কী ? অন্য ছত্রাকঘটিত সংক্রমণের থেকে কোথায় আলাদা ?
এই অতিমারি পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রমণের সাথে সাথে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণও থাবা বসিয়েছে। ব্ল্যাক ও হোয়াইট তো ছিলই, এবার ইয়েলো সংক্রমণ চিন্তা বাড়িয়েছে। চিকিৎসকদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁরা ছত্রাকঘটিত সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিড ও ছত্রাকঘটিত সংক্রমণকে একসাথে জুড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, এই জাতীয় সংক্রমণের কারণগুলিতে নজরপাত করা উচিত। বিশেষত, ইয়েলো সংক্রমণ। এই সংক্রমণের মারণক্ষমতা অনেক বেশি।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসম্প্রতি করোনা থেকে সেরে ওঠা উত্তরপ্রদেশের এক ব্যক্তির শরীরে ইয়েলো ফাঙ্গাসের সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। এর পাশাপাশি তিনি ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসেও আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু, ইয়েলো ফাঙ্গাস আরও বেশি বিপজ্জনক, কারণ এটি শরীরে অভ্যন্তরভাগে তৈরি হয়। এর পাশাপাশি এই ফাঙ্গাসের শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা আরও কঠিন।
কী এই ইয়েলো ফাঙ্গাস ? ইয়েলো ফাঙ্গাস হল এক ধরনের ছত্রাক ঘটিত সংক্রমণ। পরিবেশে ছত্রাকের উপস্থিতি থেকে ইয়েলো ফাঙ্গাসের তৈরি হয়। যার সংক্রমণ সাধারণত মানবশরীরে নয়, টিকিটিকির মধ্যে দেখা যায়। তবে মানবশরীরে অপ্রয়োজনীয় ক্লান্তি, পোড়া চামড়া থেকে এর উপস্থিতিত পরিলক্ষিত হয়। ইয়েলো ফাঙ্গাস শরীরের ভিতরের অঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি করে
ইয়েলো ফাঙ্গাসের উপসর্গ ইয়েলো ফাঙ্গাসে আক্রান্তের ওজন কমবে, খিদে কমবে, ক্লান্তিভাব থাকবে। সময়ে না ধরা পড়লে, ইয়েলো সংক্রমণের জেরে পুঁজ বেরনো, অর্গান ফেলিওর, শরীরের কোনও ক্ষতর ধীরে ধীরে সেরে ওঠার মতো সমস্যা দেখা দেবে।
ব্ল্যাক ও হোয়াইট ফাঙ্গাসের থেকেও কি বিপজ্জনক ইয়েলো ফাঙ্গাস? সময়ে ধরা পড়লে সহজেই ইয়েলো ফাঙ্গাসের চিকিৎসা সম্ভব। কিন্তু যেহেতু এটা শরীরের ভিতরে বেড়ে ওঠে, তাই এর শনাক্তকরণ ও চিকিৎসায় প্রায়ই দেরি হয়ে যায়। যার জেরে অর্গান ফেলিওর হয়। Amphotericin B ইঞ্জেকশনই এর একমাত্র চিকিৎসা।
ইয়েলো ফাঙ্গাসের সম্ভাব্য কারণ অনিয়ন্ত্রত ডায়াবেটিস, স্টেরয়েডের দীর্ঘ ব্যবহার, আবদ্ধ পরিবেশ, চারপাশ নোংরা থাকলে, অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, কম রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা এবং কোমর্বিডিটি।
কী সাবধানতা অবলম্বন করবেন ? রোগীর আইসোলেশন এরিয়ায় আর্দ্রতা এড়িয়ে যেতে হবে। পরিষ্কার হাতে রোগীর সেবা করতে হবে। রোগীর ব্যবহারে পরিষ্কার জল রাখতে হবে। বাড়ি এবং বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখুন। বাসি খাবার খাবেন না। এছাড়া কোমর্বিডিটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।(প্রতীকী ছবি-AFP)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -