Indira Gandhi Death Anniversary:গুলি করা হয় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে, প্রয়াণ-দিবসে ফিরে দেখা ইন্দিরা গাঁধীর জীবন
তিনি, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সন্তান। তিনি, ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী গাঁধী। তবে স্রেফ এটুকুই তাঁর পরিচয় নয়। দেশবাসীর বড় অংশের মতে, ইন্দিরা গাঁধী ছিলেন ভারতের অন্যতম সফল প্রধানমন্ত্রী। অন্য অংশ আবার তাঁর কট্টর সমালোচক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯১৭ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মেছিলেন নেহরু-কন্যা। স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তৈরি শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করতে আসেন। সেখান থেকে ১৯৩৭ সালে অক্সফোর্ডের Somerville কলেজে পড়তে চলে যাওয়া। দাপুটে রাজনৈতিক জীবনের তখনও অবশ্য সে অর্থে কিছুই শুরু হয়নি।
১৯৪১ সালে দেশে ফিরে আসেন ইন্দিরা। এর পর, অঘোষিত ভাবে তিনিই ছিলেন বাবার সহযোগী। শোনা যায়, স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর কাজকর্ম কাছ থেকে দেখেছিলেন কন্যা।
বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে রাজ্যসভা সাংসদ করা হয়। লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীও হয়েছিলেন ইন্দিরা গাঁধী।
১৯৬৬ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন। বস্তুত, প্রধানমন্ত্রিত্বকালে একের পর এক সিদ্ধান্ত জনমানসে তাঁর স্পষ্টতর ভাবমূর্তির জন্ম দেয়। '৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধঘোষণা ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ইন্দিরা গাঁধীর প্রধানমন্ত্রিত্বে ভারতের ভূমিকা গোটা বিশ্বে এ দেশের সম্ভ্রম বাড়ায়।
এর ঠিক চার বছর পর আসে জরুরি অবস্থা। এলাহাবাহ হাইকোর্ট সে বার লোকসভা নির্বাচনকে নানা রকম অনৈতিক পদ্ধতির জন্য অবৈধ ঘোষণা করলে জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা গাঁধী। সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ থেকে ব্যাপক ধরপাকড়, নানা রকম অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে।
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পর ভোট হলে জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বাধীন জনতা দলের জোটের কাছে হেরে যান ইন্দিরা গাঁধী। কিন্তু ১৯৭৯ সালে জয়প্রকাশ নারায়ণের মৃত্যু, মোরারজি দেশাই এবং চরণ সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্বের পর ফের ক্ষমতায় ফেরেন নেহরু কন্যা।
দেশের নানা সমস্যা মোকাবিলার পাশাপাশি তখন মাথাব্যথা বাড়াচ্ছিল বিচ্ছিন্নতাবাদী খলিস্তানি আন্দোলন। গোয়েন্দাসূত্রে খবর পাওয়া যায়, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে বিচ্ছিন্নতাবাদী জার্নেল সিংহ ভিন্দ্রানওয়ালের নেতৃত্বে লুকিয়ে রয়েছে খালিস্তানিরা। সেখানে অস্ত্রও মজুদ করা হচ্ছিল বলে খবর আসে। সালটা ১৯৮৪, জুন মাস। স্বর্ণমন্দির থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দূর করার যুক্তিতে অপারেশন ব্লু স্টারের নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধী।
স্বর্ণমন্দিরে এই অভিযানের বদলা নিতে সেই বছরেরই অক্টোবর মাসের শেষ দিন, একেবারে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে গুলি করে তাঁরই দেহরক্ষী সতবন্ত সিংহ এবং বিয়ন্ত সিংহ। নয়াদিল্লিতে ১ নম্বর সফদরজঙ্গ রোডের বাড়িতেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। শেষ হয় এক অধ্যায়। আজ ইন্দিরা-প্রয়াণের ৩৯ বছর।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -