India-Pakistan Nuclear Capabilities: পরমাণু অস্ত্রের অধিকারী দুই দেশই, ভারত না পাকিস্তান, শক্তিতে এগিয়ে কে?

India-Pakistan Conflict: ফের মুখোমুখি সম্মুখ সমরে। পরমাণু শক্তিতে কে এগিয়ে? ছবি: ফ্রিপিক।

Continues below advertisement

ছবি: ফ্রিপিক।

Continues below advertisement
1/11
দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র এখন কার্যতই সম্মুখ সমরে। পহেলগাঁও হামলার পর পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। পাল্টা ভারতে হামলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর দক্ষতায় যদিও এখনও সফল হয়নি তারা।
2/11
কিন্তু দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের মধ্যে এহেন সংঘাতে তটস্থ আন্তর্জাতিক মহল। ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, গোলাগুলি থেকে সংঘাত এই বুঝি যুদ্ধে পরিণত হল, উদ্বেগ সকলের। কিন্তু পরমাণু শক্তিধর ভারত এবং পাকিস্তান, পরমাণু শক্তির নিরিখে কে, কাকে টেক্কে দিচ্ছে দেখে নেওয়া যাক একঝলকে।
3/11
১৯৭৪ সালে প্রথম বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত। পাকিস্তান প্রথম বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে ১৯৯৮ সালে। ফেডারেশন অফ আমেরিকান সায়েন্টিস্টস-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ভারতের হাতে ১৮০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে।
4/11
মোট তিন ধরনের পরমাণু অস্ত্র রয়েছে ভারতের হাতে, ১) ভূমি থেকে ভূমিতে ছোড়ার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে ‘অগ্নি’ সিরিজের রকেটও পড়ে। ২) আকাশে ছোড়ার পরমাণু অস্ত্র এবং সমুদ্রে জাহাজ থেকে ছোড়ার পরমাণু অস্ত্র, যার মধ্যে সাবমেরিনও পড়ছে। পরমাণু শক্তিসম্পন্ন রকেট ছুড়তে পারে তারা।
5/11
পাকিস্তানের হাতে ১৭০টি পরমাণু ওয়ারহেড রয়েছে। ভূমি থেকে ভূমিতে ছোড়ার ‘Shaheen’, ‘Ghauri’ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি, আকাশপথে হামলা চালানোর ক্ষেপণাস্ত্রো রয়েছে তাদের। সমুদ্রে জাহাজের উপর থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কাজেও হাত দিয়েছে তারা। তবে সেই নিয়ে এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ তথ্য হাতে আসেনি।
Continues below advertisement
6/11
ইন্দো-চিন যুদ্ধের পরই পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠার কাজে হাত দেয় ভারত। ১৯৭৪ সালের ১৮ মে রাজস্থানের পোখরানে প্রথম বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত, যার কোডনেম ছিল ‘Smiling Buddha’. ১৯৮৮ সালে মাটির নীচে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ভারত, যার নাম ছিল ‘অপারেশন শক্তি’।
7/11
তবে গোড়া থেকেই পরমাণু শক্তি নিয়ে সাবধানী ভারত। এব্যাপারে ‘No First Policy’ নীতি মেনে চলা হয়। অর্থাৎ নিজে থেকে প্রথমে কারও উপর পরমাণু শক্তি প্রয়োগ করবে না ভারত। যদিও এই নীতি সংশোধন করার পক্ষে ২০১৬ সালে সওয়াল করেন ভারতের তদানীন্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। ২০১৯ সালে রাজনাথ সিংহ জানান, পরিস্থিতি বুঝে অবস্থান পাল্টানো যেতে পারে।
8/11
ভারতের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমেই পরমাণু শক্তিধর হয়ে ওঠে পাকিস্তান। তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকর আলি ভু্ট্টোর নেতৃত্বে শুরু হয় প্রকল্পের কাজ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ পরমামু প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের শক্তিবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন আব্দুল কাদের খান। তবে গোটা পৃথিবীর থেকে বিষয়টি গোপন রাখা হয়।
9/11
১৯৮৮ সালে ভারত দ্বিতীয় বার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করলে, বালুচিস্তানের ছগই পার্বত্য় অঞ্চলে তারা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে। পৃথিবীর সপ্তম পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্র হয়ে ওঠে পাকিস্তান। পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ নিয়ে সুনির্দিষ্ট নীতি নেই পাকিস্তানের। তবে ২০০১ সালে দেশের অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল খালিদ আহমেদ কিদওয়াই চারটি শর্তের কথা জানা।
10/11
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল খালিদ জানান, ১) পাকিস্তানের ভূখণ্ডের বড় অংশ যদি হাতছাড়া হয়, সেক্ষেত্রে পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে তারা। কাশ্মীর নিই যে দীর্ঘ সংঘাত, দুই দেশের মধ্যে, সেই নিয়েই এমন সিদ্ধান্ত বলে ধরা হয়। ২) শত্রুপক্ষ যদি তাদের সেনা, বায়ুসেনার বড় ক্ষতি করে, সেক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হতে পারে পরমাণু অস্ত্র। ৩) আগ্রাসী শক্তি যদি এমন কিছু করে, যাতে পাকিস্তানের অর্থনীতির ক্ষতি হয়। ৪) রাজনৈতিক ভাবে পাকিস্তানকে অস্থির করে তুললে, দেশের অভ্য়ন্তরীণ সম্প্রীতি নষ্ট করলে।
11/11
২০১১ সালে থেকে স্বল্পদূরত্বের একাধিক পরমাণু অস্ত্রও গড়ে তুলেছে পাকিস্তান। সেগুলি প্রয়োগ করলে বড়মাত্রায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে দাবি উঠে এলেও, বিশেষজ্ঞদের মতে, কম তীব্রতার পরমাণু অস্ত্র থেকেও বড় ক্ষতি হতে পারে। এমনকি পাকিস্তানের নিজের সীমান্ত এলাকাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এতে।
Sponsored Links by Taboola