Statue of Equality:সন্ত রামানুজাচার্যের মূর্তির উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, এক ঝলকে ‘স্ট্যাচু অফ ইকোয়ালিটি’-র কিছু ছবি

হায়দরাবাদের সন্নিকটে শনিবার একাদশ শতকের সন্ত ও সমাজ সংস্কারক রামানুজাচার্যের ২১৬ ফুট উঁচু মূর্তির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

হায়দরাবাদের সন্নিকটে মুচিন্তালে সন্ত শ্রী চিন্না জিয়ার স্বামী কর্তৃক নির্মিত বৈষ্ণব সন্ত রামানুজাচার্যের মূর্তির নামকরণ করা হয়েছে স্ট্যাচু অফ ইকোয়ালিটি।

মূর্তির আববরণ উন্মোচন করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ মা সরস্বতীর আরাধনার দিন বসন্ত পঞ্চমীর শুভক্ষণ। মা শারদার অসীম কৃপায় অবতার শ্রী রামানুজাচার্যজীর মূর্তির এই লগ্নে উদ্বোধন হল। আমি সবাইকে বসন্ত পঞ্চমীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জগৎ গুরু শ্রী রামানুজাচার্যর এই সুবিশাল মূর্তির মাধ্যমে ভারতীয় উৎসাহ ও প্রেরণাকে মূর্তরূপ দেওয়া হল। রামানুজাচার্যর এই মূর্তি তাঁর জ্ঞান, বৈরাগ্য ও আদর্শের প্রতীক।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যখন সারা বিশ্ব সামাজিক সংস্কারের কথা বলে, প্রগতিশীলতার কথা বলে, তখন মনে করা হয় শিকড়ের বাইরে গিয়ে সংস্কার হবে। কিন্তু যখন রামানুজাচার্যের প্রসঙ্গ আসে, তখন আশ্বাস হয় যে, প্রগতিশীলতা ও প্রাচীনত্বের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আজ রামানুজাচার্যের এই মূর্তি স্ট্যাচু অফ ইকোয়ালিটি নামে সাম্যের বার্তা দিচ্ছে। এই বার্তা দিয়েই আজ দেশ সবার উন্নতি, সবার বিশ্বাস, সবার প্রয়াসের মন্ত্রে নিজেদের ভবিষ্যতের ভিত্তি স্থাপন করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রামানুজাচার্য ভক্তিমার্গেরও পথপ্রদর্শক। সমগ্র জীবন তিনি কর্মের তিনি নিবেদন করেছিলেন।

সাম্যের আদর্শ প্রচার করেছিলেন বৈষ্ণব সন্ত রামানুজাচার্য স্বামী। তিনি ভারতের মহান সন্তদের মধ্যে একজন। তাঁর ১০০০ তম জন্ম সহস্রাব্দ সমারোহের আয়োজন করা হচ্ছে।

তাঁর মূর্তি বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সন্ন্যাসী ত্রীদণ্ডি চিন্না জিয়ার স্বামীর আশ্রমে গড়ে তোলা হয়েছে। মূর্তির সঙ্গে পরিসরে ১০৮ দিব্যদেশও তৈরি করা হয়েছে।

৪৫ একর এলাকা জুড়ে তা ছড়িয়ে রয়েছে। শনিবার মূর্তির উদ্বোধনের আগে পুজোপাঠও করেন প্রধানমন্ত্রী