Independence Day 2022: প্রকৃত স্বাধীনতা কী, আজও স্মরণ করিয়ে চলেছেন, আমরা মনে রেখেছি তো!
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি। কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতা কী, তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ। স্বাধীনতার অর্থ ব্যাখ্যা করে গিয়েছেন বিপ্লবী, সংগ্রামী, মনীষীরাও। কী বলে গিয়েছেন তাঁরা, জেনে নিন।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমহাত্মা গাঁধী: স্বাধীনতা সংগ্রামে সার্বিক সাড়া পাওয়া গিয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। সেই মহাত্মা গাঁধীর মত ছিল, চোখের বদলে চোখ উপড়ে নিতে গেলে, গোটা পৃথিবী অন্ধ হয়ে যাবে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর: কলমের আঁচড়ে শাসকের মনে ভয় ধরানোর মন্ত্র আজও জুগিয়ে চলেছেন কবি। ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির, জ্ঞান যেথা মুক্ত, যেথা গৃহের প্রাচীর, আপন প্রাঙ্গণতলে দিবশর্বরী বসুধারে রাখে নাউ খণ্ড ক্ষুদ্র করি’, আজও ভরসা তাঁর লেখা এই ছত্র।
ভগৎ সিংহ: ক্ষমাহীন সমালোচনা এবং স্বাধীন চিন্তাধারাকে স্বাধীনতার প্রধান দুই উপকরণ বলে গিয়েছেন ভগৎ সিংহ। এ ছাড়া যাবতীয় বিপ্লব বৃথা বলে মত ছিল তাঁর।
রামপ্রসাদ বিসমিল: শাসকের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিসমিলের বক্তব্য ছিল, ‘হৃদয়ে বিপ্লবের অভিলাষ, দেখি জহ্লাদের বাহুর জোর কত’।
চন্দ্রশেখর আজাদ: ‘শত্রুর গুলি বুক পেতে নিতে রাজি। স্বাধীন ছিলাম, স্বাধীনই থাকব’, বলেছিলেন আজাদ।
জওহরলাল নেহরু: রাজনীতিতে আজও প্রাসঙ্গিক তিনি। জওহরলাল নেহরুর মত ছিল, পুঁজিবাদী শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে, বিত্তশালীর আরও সম্পত্তিবৃদ্ধি ঘটবে। আরও বেশি করে দারিদ্র্যের অন্ধকারে হারিয়ে যাবে দরিদ্র।
সর্দার বল্লভভাই পটেল: দেশের স্বার্থে কঠোর পদক্ষেপ করতেও পিছপা হননি। তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘বিপ্লবের রাস্তা বেছে নিতে পারেন যে কেউ, কিন্তু তার অভিঘাত যেন সমাজের গায়ে না লাগে। বিপ্লবে হিংসার কোনও স্থান নেই’।
ভীমরাও অম্বেডকর: সংবিধানের রচয়িতা অম্বেডকরের মত ছিল, সমাজ কতটা এগিয়েছে তা নারীজাতির অগ্রগতি দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব।
সরোজিনী নায়ডু: আজও অনুপ্রেরণা জুগিয়ে চলেছেন সরোজিনী নায়ডু। তাঁর মত ছিল, নিপীড়নের সামনে আত্মমর্যাদা রক্ষায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হবে। বলতে হবে, এরও শেষ আছে। ন্যায় বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে সকলের। দুর্বলের হাত ধরতে এগিয়ে আসতে হবে সবলকেই।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -