Central Vista Project: আগে যা ছিল, এখন যা হল, ‘সেন্টাল ভিস্তা’ প্রকল্পে দিল্লির নয়া রূপ সামনে এল
চলতি সপ্তাহেই ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’ প্রকল্পের আওতায় ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’-এর উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে পারে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’-এর। তার আগে ইন্ডিয়া গেট থেকে সংসদভবন সংলগ্ন এলাকার নয়া রূপ সামনে এল।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App‘সেন্ট্রাল ভিস্তা’র আওতায় দিল্লির বিজয় চক থেকে ইন্ডিয়া গেট খোলনলচে বদলে ফেলা হচ্ছে। তার জন্য পরিবেশ বিভাগের ছাড়পত্রও মিলেছে। তার আওতায় প্রথম ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’-এরই উদ্বোধন হতে চলেছে।
এখনও পর্যন্ত যে অংশের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে, তার ছবি সামনে এনেছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। তাতে লাল গ্রানাইট পাথরে মোড়া রাস্তা, সবুজ ঘাসের লন চোখে পড়েছে।
সব মিলিয়ে ১.১ লক্ষ স্কোয়্যার মিটার এলাকা লাল গ্রানাইট পাথরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। ১৩৩টির বেশি নতুন বাতিস্তম্ভ বসানো হয়েছে। লাগানো হয়েছে ৪ হাজার ৮৭টি গাছও। ১১৪টি ফলক বসেছে। সাজানো হয়েছে বাগান।
সুসজ্জিত ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’-এ খাবারের স্টল বসানো যাবে। রয়েছে আলাদা গাড়ি পার্কিং এলাকা। ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা থাকবে সেখানে।
বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’-এর উদ্বোধনের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দিল্লি পুলিশ। জরুরি বিভাগ ছাড়া ওই দিন সমস্ত সরকারি কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।
শুধু তাই নয়, ওই দিন লুটিয়েন্স দিল্লির সমস্ত মন্ত্রকগুলির কাজকর্ম মধ্যাহ্ণভোজের পর বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। উদ্বোধনে অনুষ্ঠানে সকলকে শামিল হতে বলা হয়েছে বলেও খবর।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজপথ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন এবং ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত ৯০০-র বেশি বাতিস্তম্ভ বসানো হবে, যাতে ২৪ ঘণ্টা সেখানে নিরাপদে হাঁটতে পারেন সাধারণ মানুষ। তার জন্য চারটি ফুটপাথও গড়ে তোলা হয়েছে।
আগের সমস্ত ম্যানহোল তুলে ১ হাজার ৪৯০টি আধুনিক ম্যানহোল বসানো হয়েছে। কংক্রিটের বোলার্ড বসানো হচ্ছে ৯৮৭টি। লুটিয়েন্স দিল্লিকে নতুন ভাবে সাজাতেই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প কেন্দ্রের।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে সংসদভবন, মন্ত্রী-আমলাদের বাংলো, সবকিছুই নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। সবমিলিয়ে খরচ পড়ছে ১৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা।
তবে গোড়া থেকেই এই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনার মুখে কেন্দ্র। করোনা কালে দেশের অর্থনীতিতে সঙ্কট নেমে এসেছে, সেই সময় বিপুল টাকা খরচ করে রাজধানীর ইতিহাস এবং ঐতিহ্য মুছে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -