Jaipur Amber Fort: গোপন সুড়ঙ্গ, শিশমহল, হারিয়ে যাওয়া ইতিহাসের সাক্ষী জয়পুরের অম্বর ফোর্ট
‘পধারো মারো দেশ’, হিন্দি সিরিয়ালের দৌলতে রাজস্থান শুনলেই মনে পড়ে গানের এই দুই ছত্র। কিন্তু রাজস্থান শুধু বেড়ানোর জায়গা নয়, বরং পরতে পরতে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসের মণিমুক্তো।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appনিঁখুত কারুকার্য এবং ঐতিহ্যমণ্ডিত জয়পুরের বিখ্যাত অম্বর দুর্গ, যা কি না আমের দুর্গ নামেও পরিচিত, ইতিহাসের এমনই এক সাক্ষী। দীর্ঘ সুড়ঙ্গপথে এই দুর্গ থেকে অন্যত্র পালানোর ব্যবস্থাও ছিল।
গোলাপি শহর জয়পুরের ১১ কিলোমিটার উত্তরে, আরাবল্লী পর্বতের ‘চিল কা টিলা’ অংশের উপর এই পর্বত তৈরি করা হয়। ৯৬৭ খ্রীস্টাব্দে চন্দ্র বংশের রাজা এলান সিংহ প্রথমদুর্গের স্থাপনা শুরু করেন। তার পর পুরনো স্থাপনার উপর নতুন করে নির্মাণ শুরু করেন রাজা মান সিংহ।
মান সিংহের ছেলে প্রথম জয় সিংহের হাত হয়ে ১৭২৭ সালে সাওয়াই জয় সিংহ রাজধানী অম্বর থেকে জয়পুরে স্থানান্তরিত করার পর দুর্গকে পূর্ণতা দেওয়ার কাজে হাত দেন।
অম্বা মাতার নামে অম্বর দুর্গের নামকরণ হয়েছে বলে বিশ্বাস স্থানীয়দের। আবার শিবের অন্য নাম অম্বিকেশ্বর অথবা অযোধ্যার রাজা অম্বরীশের নামেও দুর্গের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে বলেও বিতর্ক রয়েছে।
দুর্গের ভিতর প্রচুর মন্দির রয়েছে। রয়েছে নিখুঁত করে সাজানো বাগান। জয়পুর গেলে দুর্গেই এক দিন কেটে যায়। দুর্গের ঠিক পাশেই রয়েছে মাওতা হ্রদ। রাজস্থানের প্রাচীন লোককথায় শোনা যায়, পাহাড়ের ঢালে যে লিঙ্গ রয়েছে, তা হ্রদের জলে সম্পূর্ণ ডুবে গেলে অবির্ভূত হবেন অম্বা মাতা।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ওই হ্রদের ধারে দীর্ঘ সময় কাটাতে দেখা যায় পর্যটকদের। হ্রদের ঠিক মাঝখানে রয়েছে ‘কেশর কিয়ারি বাগ’বাগান। দুর্গের ভিতর রয়েছে শিশমহল। হাজারের বেশি রঙিন কাচ দিয়ে তৈরি এই শিশমহল। তাতে রোদ পড়লে চোখে ধাঁধা লেগে যায়।
শিশমহলের মধ্যে একটি স্তম্ভে এমন ভাবে নকশা খোদাই করা রয়েছে যে, এক এক দিক থেকে নকশা এক এক রকমের মনে হয় । কখনও দুই প্রজাপতির মাঝে একটি ফুল, কখনও মাছের লেজ, কখনও পদ্ম কখনও সিংহের লেজে লুকিয়ে থাকা গোখরো আবার কখনও হাতির শূঁড় বলে ভ্রম হয়।
অম্বর দুর্গের মোট চারটি ভাগ রয়েছে। প্রত্যেক দিকেই বিশালাকার ফটক রয়েছে। তার মাথায় লেখা রয়েছে দুর্গের ইতিহাস। সূর্যস্তম্ভের দিক হয়ে উদ্যানে যাওয়া যায়। একসময় সৈন্যরা সেখানে কুচকাওয়াজ করতেন।
দুর্গের সর্বত্র দেওয়ালে সূক্ষ্ম নকশা এবং কারুকার্য চোখে পড়ে। দুর্গের মূল ফটকটিও রাজকীয় কারুকার্য সমৃদ্ধ।
অম্বর দুর্গের মধ্যে গোপন সুড়ঙ্গও রয়েছে। তার মধ্যে দিয়ে হেঁটে জয়গড় দুর্গে পৌঁছনো যায়। ২ কিলোমিটার লম্বা এই সুড়ঙ্গ। শত্রুপক্ষ হামলা করলে এই সুড়ঙ্গ দিয়েই পালানোর ব্যবস্থা ছিল।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -