Rajiv Gandhi Birth Anniversary: ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র রূপকার, ২১ থেকে ভোটাধিকার প্রয়োগের বয়স কমে ১৮ হয় রাজীব গাঁধীর হাতেই
রাজনীতিতে আসার কোনও ইচ্ছেই ছিল না তাঁর। কিন্তু মানুষ চায় এক, হয় আর এক। তাই রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা হয়নি তাঁর। শনিবার দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীর জন্মবার্ষিকী।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In App১৯৮০ সালে বিমান দুর্ঘটনায় দাদা সঞ্জয় গাঁধীর মৃত্যু হলে না চাইতেও রাজনীতিতে যোগ দিতে হয় রাজীবকে। ১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গাঁধী খুন হলে, ৪০ বছর বয়সে, দেশের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রশাসনিক দায়িত্ব হাতে পান।
দিল্লি ফ্লাইং ক্লাব থেকে প্রশিক্ষিত পাইলট ছিলেন রাজীব। আকাশে উড়ানের মধ্যে স্বাধীনতা খুঁজে পান বলে একবার এক সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেন। এয়ার ইন্ডিয়ায় চাকরি করতেন তিনি। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে সনিয়ার সঙ্গে আলাপ। প্রথম সাক্ষাতেই সনিয়ার সঙ্গে জীবন কাটাবেন বলে ঠিক করে নেন।
ছবি তোলাও অত্যন্ত পছন্দ ছিল রাজীবের। তাঁর তোলা ছবি নিয়ে বই প্রকাশ করতে চেয়েছিল এক সংস্থা। কিন্তু রাজি হননি তিনি। তাঁর মৃত্যুর পর সনিয়া গাঁধী রাজীবের ছবি নিয়ে বই প্রকাশ করেন।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চেয়েছিলেন রাজীব। কিন্তু বোফোর্স মামলায় নাম জড়ানোর পর তাঁকে নিয়ে ‘গলি গলি মেঁ শোর হ্যায়, রাজীব গাঁধী চোর হ্যায়’ স্লোগান শোনা যায় সর্বত্র। যদিও সুদীর্ঘ মামলার রায় দেখে যেতে পারেননি রাজীব। মৃত্যুর পর দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ক্লিনচিট দেয়।
গাড়ি চালাতেও পছন্দ করতেন রাজীব। তিনিই দেশের একমাত্র প্রধানমন্ত্রী, যিনি নির্বাচনী প্রচারেও যেতেন নিজে গাড়ি চালিয়ে। এমনকি সরকারি সফরেও স্টিয়ারিংয়েই হাত থাক তাঁর।
সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর ইন্দিরা এবং রাজীবের সঙ্গে দেখা করতে যান শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী স্বরূপানন্দ। রাজীবকে রাজনীতিতে পদার্পণ করতে একপ্রকার তিনিই রাজি করিয়েছিলেন।
সংবিধানে ভোটাধিকার ধারায় সংশোধন করেন রাজীব। আগে ভোটদানের ন্যূনতম বয়স ছিল ২১ বছর। তা কমিয়ে ১৮ বছর করে তাঁর সরকার। সিদ্ধান্তের পক্ষে সওয়াল করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের যুবসমাজের উপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে তাঁর।
পাঁচ বছরের শাসনকালে জাতীয় শিক্ষা নীতি ১৯৮৬ আনেন রাজীব, দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকীকরণেই এমন পদক্ষেপ ছিল তাঁর। মানুষের সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে পঞ্চায়েত রাজের উপর জোর দেন। ভারতে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রবর্তনও তাঁর হাতেই।
কর্মসংস্থানে ‘জওহর রোজগার যোজনা’ প্রকল্প চালু করেন রাজীব। MTNL-এর প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রকৃত অর্থে ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’র রূপকার বলা হয় রাজীবকে।১৯৮৪ সালে সেন্টার ফর ডেভলপমেন্ট অফ টেলিমেটিক্সের প্রতিষ্ঠা করে রাজীবের সরকার। সি-ডট বিপ্লব গ্রামগঞ্জের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে, পত্তন হয় পিসিও অর্থাৎ পাবলিক কল অফিসের।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -