Antibiotics Use: অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটি খাওয়ার অভ্যাস, অর্ধেক ওষুধের অনুমোদনই নেই, ভারতীয়দের নিয়ে উদ্বেগজনক রিপোর্ট
ভারতে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের ব্যবহার অত্যধিক, ধরা পড়ল গবেষণায়। এশিয়ায় ওষুধের ব্যবহার নিয়ে ওই গবেষণা। রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ল্যান্সেট পত্রিকায়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appওই গবেষণায় বলা হয়েছে, অত্যধিক মাত্রায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খান ভারতীয়রা। এর মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। করোনা কালে এই প্রবণতা আরও বেড়েছে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, যে সমস্ত অ্যান্টিবায়োটিক খান ভারতীয়রা, তার মধ্যে অধিকাংশই নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনপ্রাপ্ত নয়। এই প্রবণতা রুখতে হলে অবিলম্বে কড়া বিধি চালু করতে হবে ভারত সরকারকে।
এই পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্র-রাজ্য অসংহতিকেই দায়ী করেছেন গবেষকরা। এর জন্যই বাজারে অ্যান্টিবায়োটিকের বিক্রি এবং তার ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ নেই বলে দাবি তাঁদের।
ওষুধ সংস্থাগুলির বিক্রিবাটা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা ফার্মাট্রাকের দেওয়া পরিসংখ্যান, ৯ হাজার সেলস রিপ্রেজেন্টেটিভকে নিয়ে তৈরি প্যানেলের রিপোর্ট খতিয়ে দেখে তৈরি হয় গবেষণাপত্রটি। পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের তরফেও সাহায্য করা হয়ে গবেষণায়।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের সংখ্যা ছিল ৫,০৭১। এর মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিনের ব্যবহার ছিল সর্বাধিক।
ভারতীয়দের মধ্যে অ্যাজিথ্রোমাইসিন 500mg ওষুধের ব্যবহারই সর্বাধিক। তার পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিফিক্সিমি 200mg। কেন্দ্র অনুমোদিত নয়, এমন অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ৪৪ শতাংশ।
অ্যান্টিবায়োটিকের এই অত্যধিক ব্যবহারের বিরোধী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদিত নয়, এমন ওষুধ ব্যবহার নিষিদ্ধ হওয়া উচিত বলেই মত তাদের।
এর আগে, ২০১৫ সালে ১৬টি অ্যান্টিবায়োটিক নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার। বাজারে প্রাপ্ত ১৪ শতাংশ ওষুধ তার আওতায় চলে আসে।
অত্যধিক অ্যান্টিবায়োটিক খেলে মারাত্মক প্রভাব পড়ে শরীরে। যে ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস প্রতিহত করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার, ঘটে ঠিক তার উল্টোটা। ফলে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া সত্ত্বেও ব্যাকটিরিয়া, ভাইরাস মরে না।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -