Black Fungus: করোনার মধ্যেই ভয়ঙ্কর মিউকরমাইকোসিস, দেশে আক্রান্ত প্রায় ৯ হাজার
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার কাজটা আরও কঠিন করে তুলেছে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সেরে ওঠার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ। দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮,৮৪৮ টি মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এটাই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত। (ছবি-পিটিআই)
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসমস্ত রাজ্যগুলির মধ্যে গুজরাতেই সবচেয়ে বেশি মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। গুজরাতে আক্রান্তের সংখ্যা ২,২৮১। এরপরই মহারাষ্ট্রে ২,০০০, অন্ধ্রপ্রদেশে ৯১০, মধ্যপ্রদেশে ৭২০, রাজস্থানে ৭০০, কর্ণাটকে ৫০০, হরিয়ানায় ২৫০, দিল্লিতে ১৯৭, পঞ্জাবে ৯৫, ছত্তিসগড়ে ৮৭, বিহারে ৫৬, তামিলনাড়ুতে ৪০, কেরলে ৩৬, ঝাড়খণ্ডে ২৭, ওড়িশায় ১৫, গোয়াতে ১২ ও চণ্ডীগড়ে ৮ জনের ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। (ছবি-পিটিআই)
মিউকরমাইকোসিস একটি গুরুতর ও বিরল সংক্রমণ মিউকরমাইসেটস নামে ছত্রাকের সংস্পর্শে তা কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে হচ্ছে। (ছবি-পিটিআই)
এই ছত্রাক ঘটিত অসুস্থতা দীর্ঘ সময় যে রোগীদের স্টেরয়েড দেওয়া হয়েছে, বা অক্সিজেন সাপোর্টে বা ভেন্টিলেটরে ছিলেন, বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়েবেটিস সহ অন্য অসুস্থতায় ভুগছেন তাদের মধ্যে সাধারণত দেখা যাচ্ছে। (ছবি-পিটিআই)
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না হলে ভয়ঙ্কয় হয়ে উঠতে পারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। কোভিড সংক্রমণের ক্ষেত্রে যে স্টেরয়েড দেওয়া হয়, তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর প্রভাব ফেলে। এই সমস্ত ওষুধ ডায়েবেটিক বা নন ডায়েবিটেক কোভিড রোগীদের ব্লাড সুগারের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে স্টেরয়েডের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। (ছবি-পিটিআই)
রাজস্থান, বিহার, গুজরাত, পঞ্জাব, হরিয়ানা, ওড়িশা, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই অতিমারী আইন অনুযায়ী, নোটিফিয়েবল ডিজিজ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এরফলে প্রতিটি মিউকরমাইকোসিস সংক্রমণের ঘটনা রাজ্য সরকারের কাছে জানানো বাধ্যতামূলক হয়েছে। (ছবি-পিটিআই)
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ড সরকার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে অতিমারী ঘোষণা করেছে। ঝাড়খণ্ডও এই পথেই হাঁটতে চলেছে বলে খবর। (ছবি-পিটিআই)
চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন,ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় amphotericin b ইনজেকশন। কিন্তু করোনা আবহে, এই ইনজেকশনেরও কালোবাজারি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে Amphotericin-B এর জোগান সীমিত ছিল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এর উত্পাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। (ছবি-পিটিআই)
আক্রান্তর সংখ্যার ভিত্তিতে গুজরাতকে (৫,৮০০) ও মহারাষ্ট্রকে (৫,০৯০) সর্বাধিক ভয়াল Amphotericin-B দেওয়া হয়েছে। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশকে ২,৩১০, মধ্যপ্রদেশকে ১,৮৩০ ভয়াল, রাজস্থানকে ১,৭৮০ ভয়াল, কর্ণাটককে ১,২৭০ ভয়াল দেওয়া হয়েছে। (ছবি-পিটিআই)
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক শনিবার জানিয়েছে, ওই ওষুধের জোগান বাড়ানো হয়েছে এবং সরকার আরও পাঁচ উৎপাদক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে। (ছবি-পিটিআই)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -