Kinnaur Landslide: কিন্নরের ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫, নিখোঁজ আরও ১৫, চলছে উদ্ধারের কাজ
হিমাচলের ধসে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। কিন্নর জেলায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৫। শুক্রবার আরও একটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বিভাগের এক কর্তা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবুধবার দুপুর পৌনে ১টা নাগাদ কিন্নরের নিগুলসারিতে চৌরা গ্রামের কাছে ৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। পাথরের চাঁই গড়িয়ে নেমে এসে পড়ে হাইওয়ে দিয়ে যাওয়া বাস ও গাড়ির ওপর।
এখনও পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসছে বড় বড় পাথরের চাঁই। দুর্গম পথে আটকে রয়েছে বাস। প্রশাসনের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
বুধবার ১০ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, বৃহস্পতিবার আরও চারটি দেহ ধস থেকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার ধসে আটকে পড়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। তাঁরা ভবানগর কমিউনিটি হেল্থ সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। তিনি মৃতদের নিকটাত্মীয় ও নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মৃতদের নিকটাত্মীয়কে ৪ লক্ষ টাকা এবং গুরুতর আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। তিনি আরও বলেন, পরিবহণ বিভাগ মৃত বাস যাত্রীদের নিকটাত্মীয়কে এক লক্ষ টাকা দেবে। একইসঙ্গে ঘোষণা করেন, আহতদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করা হবে।
নিখোঁজ হওয়া আরও ১৫ জনকে খুঁজে বের করতে আজ সকালে নতুন করে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর অধিকর্তা সুদেশ কুমার মোখতা জানান, এদিন ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে উদ্ধার অভিযান পুনরায় শুরু হয়।
ধসের নিচে চাপা পড়ে থাকা একটি বোলেরো গাড়ি ও তার যাত্রীদের এখনও কোনও হদিশ মেলেনি। মোখতা বলেন, আশঙ্কা করা হচ্ছে সম্ভবত গাড়িটিও ধসের সঙ্গে গড়িয়ে গেছে। এখনও এই এলাকা বিপজ্জনক হয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে আবারও ধস নামতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
স্থানীয় পুলিশ এবং হোমগার্ডের সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ধারকার্যে চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) ও ইন্দো-তিব্বতীয় সীমান্ত পুলিশ(আইটিবিপি)।
জুলাইয়ের ২৫ তারিখ থেকে কিন্নরে এনিয়ে তিনটি বড়সড় ধসের ঘটনা ঘটল। এর আগে, ২৫ জুলাই ধসের জেরে ভেঙে পড়ে সেতু। আহত হন ৯ জন পর্যটক। দ্বিতীয় ঘটনা ঘটে ৩১ জুলাই। সিরমৌরে ধসের জেরে জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -