Puri Rath Yatra 2022: অতিমারির ভয়াবহতা কাটিয়ে ফের চেনা ছন্দে পুরীর রথযাত্রা, তুঙ্গে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
পুরীতে চলছে রথযাত্রার প্রস্তুতি। করোনাকালে ২ বছর দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার পর এবার পুরোদমে চলছে রথযাত্রার আয়োজন। আষাঢ় মাস মানেই রথযাত্রা। তার আগে জ্যৈষ্ঠ শেষে জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appরাত পোহালেই রথযাত্রা। এদিন বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ রথযাত্রার আগের দিন, ৩টি রথ নিয়ে আসা হয় মন্দিরের সিংহ দুয়ারের বাইরে। প্রথমে রয়েছে জগন্নাথ দেবের রথ। এরপর দেবী সুভদ্রা এবং বলভদ্রের রথ নিয়ে আসা হয়। এদিনই রথের রশিতে টান দিয়েছেন অনেকেই।
বিগ্রহ ছাড়াই এদিন তিনটি রথ নিয়ে আসা হয়। এদিন এই দৃশ্য দেখার জন্য সকাল থেকে ভিড় করেছেন সাধারণ মানুষ। অনেকই হাত লাগাচ্ছেন রথের রশিতেও। এই দিনটি নেত্র উৎসব বা নব যৌবন বেশ হিসেবে পালন করা হয়।
করোনা আবহে ২ বছর বন্ধ থাকার পর, এবার বিধিনিষেধ না থাকায় স্নানযাত্রার দিনেই পুরীতে পুণ্যার্থীদের ভিড়। সেজে উঠেছে পুরীর মন্দির। গত ১৪ জুন কালে গর্ভগৃহ থেকে শোভাযাত্রা সহকারে স্নান মণ্ডপে আনা হয় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে।
সেখানে ১০৮ ঘড়া জলে স্নান করানো হবে বিগ্রহকে। এরপর ১৫ দিনের বিশ্রাম পর্ব। রথযাত্রার দিন ফের দর্শন মেলে জগন্নাথদেবের।
বিশ্বখ্যাত জগন্নাথ রথযাত্রা উপলক্ষে আবারও সেজে উঠছে ওড়িশা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পুরীতে অনুষ্ঠিত হয় রথযাত্রা। এই সময়ে ভগবান জগন্নাথ তাঁর ভাই বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সাথে তিনটি রথে চড়েন।
তিনটি রথই আলাদা এবং বহু ভক্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে এই রথ টানায় সামিল হন। তাঁরা বিশ্বাস করেন, মহাপ্রভু জগন্নাথ রানি গুণ্ডিচা মন্দিরে সাত দিন অবস্থান করেন।
রথযাত্রার যে প্রথা সকলকে মুগ্ধ করে তা হল, ঈশ্বর এই সময়ে ১৪ দিন নির্জনে থাকেন। আসলে এই সময় সব মন্দির বন্ধ থাকে। কথিত আছে, জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা উপলক্ষে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে ১০৮ পাত্র জল দিয়ে স্নান করানো হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানকে বলা হয় সহস্ত্রধারা স্নান। কিন্তু পরে এই স্নানের কারণে তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ভেষজ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। তাই এই নির্জনতার আচার। ১৫ তম দিনে জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রা দর্শন দেন।
এই বছর আষাঢ় শুক্ল দ্বিতীয়া তিথি ৩০ জুন সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে শুরু হয়ে ১ জুলাই দুপুর ১টা ৯মিনিটে শেষ হবে। জগন্নাথ যাত্রা শুরু হবে আগামী ১ জুলাই শুক্রবার।
ভগবানের জন্য এই রথগুলি শুধুমাত্র শ্রীমন্দিরের শিল্পী তৈরি করেন। বলা হয়, ভোই সেবাইত। যেহেতু প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানের পুনরাবৃত্তি হয়, তাই নাম রথযাত্রা। এদিকে এই উপলক্ষে, পুরীর বিভিন্ন হোটেল রুম কার্যত বুক হয়ে গেছে বলে শোনা গেছে।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -