UPSC Topper Shruti Sharma: কাঁড়ি কাঁড়ি বই পড়লেও, নোটস হোক নিজের, UPSC প্রথমা শ্রুতি বেঁধে দিলেন সাফল্যের মন্ত্র
কোনও শর্টকাট নয়, কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায়। UPSC-তে সাফল্যের চাবিকাঠি বলতে এই দুই, জানালেন দেশের মধ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী শ্রুতি শর্মা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appআদতে উত্তরপ্রদেশের বিজনৌরের বাসিন্দা হলেও, দিল্লির ইস্ট অফ কৈলাসে বসবাস শ্রুতির পরিবারের। নিজের সাফল্যের শ্রেয় দিয়েছেন মা, বাবা, পরিবার এবং জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে, সেখান থেকেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেন শ্রুতি।
চার বছর ধরে UPSC-র জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শ্রুতি। সরকার যে দায়িত্ব দেবে, তা-ই পালন করবেন বলে জানিয়েছে। তবে ব্যক্তিগত ভাবে শিক্ষা এবং মহিলা সশক্তিকরণ বিভাগই পছন্দ বলে জানিয়েছেন তিনি।
শ্রুতি জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় সফল হয়েছেন তিনি। এর আগে ভুল ফর্ম ফিলআপ করায়, হিন্দিতে পরীক্ষা দিতে হয়েছিল। তাতে এক নম্বরের জন্য সুযোগ হাতছাড়া হয়।
শ্রুতি জানিয়েছেন, প্রস্তুতি পর্বে আগে পড়াশোনার কৌশল ঠিক করে নেওয়া উচিত। UPSC-তে ধৈর্য্য এবং একাগ্রতা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কাজের ইচ্ছে থাকলে, তবেই UPSC-তে বসার পরামর্শ দিয়েছেন শ্রুতি, শুধুমাত্র চাকরির প্রয়োজনে নয়।
দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ এবং জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের প্রাক্তন ছাত্রী শ্রুতি। UPSC-র জন্য জামিয়ার আবাসিক কোচিং-এ ভর্তি হন। সেখানে পাঠরত ২৩ পড়ুয়া এ বছর UPSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
শ্রুতি জানিয়েছেন, দিনে কত ঘণ্টা পড়ছেন, তা জরুরি নয়। যে টুকু পড়ছেন, তা কতটা মনোযোগ দিয়ে পড়ছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সকলের শিক্ষাগ্রহণের ক্ষমতা পৃথক বলে মত তাঁর।
UPSC-র সিলেবাসের যা বহর, তাতে বাজারের যা বই পাওয়া যায়, সবই কিনেছিলেন তিনি। কিন্তু বইয়ের পড়া মুখস্ত নয়, নিজের তৈরি নোটসেই সাফল্য এসেছে বলে জানিয়েছেন। তাঁর মতে, নিজে বুঝে, নিজের মতো করে নোটস বানালে তা মাথায় গেঁথে যায়।
এ বারে UPSC পরীক্ষায় তিনটি শীর্ষস্থানেই মেয়েরা। সাত বছর পর এমন ঘটল। প্রথম স্থানে রয়েছেন শ্রুতি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কলকাতার অঙ্কিতা আগরওয়াল, তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পঞ্জাবের গামিনী সিংলা। এর আগে, ২০১৪ সালে ইরা সিঙ্ঘল, রেণু রাজ এবং নিধি গুপ্ত এই কৃতিত্ব অর্জন করেন।
শ্রুতি জানিয়েছেন, প্রথম হওয়ার খবর প্রথম মা এবং দিদাকে জানান তিনি। পরে ফোন করে জানান বাবাকে। বাবা দিল্লিতে ছিলেন না। কিন্তু মেয়ের সাফল্য উদযাপনে ফিরে আসছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -