Iran on Antarctica: সেনাঘাঁটি-গবেষণাকেন্দ্র গড়ার ঘোষণা ইরানের, এবার আন্টার্কটিকা নিয়ে টানাপোড়েন
মেরুপ্রদেশকে ঘিরেও এবার আন্তর্জাতিক টানাপোড়েন। আন্টার্কটিকার উপর নিজেদের অধিকার দাবি করল ইরান। সেখানে দেশের পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা করা হয়েছিল, এবার সরাসরি আন্টার্কটিকাকে নিজেদের মালিকানাধীন বলে দাবি করল তারা। ছবি: পিক্সাবে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appইরানীয় নৌবাহিনীর কম্যান্ডার রেয়ার অ্যাডমিরাস শাহরম ইরানি গত সেপ্টেম্বরেই আন্টার্কটিকায় দেশের পতাকা উত্তোলনের ঘোষণা করেছিলেন। তাঁর দাবি, আন্টার্কটিকার উপর সম্পত্তির অধিকার রয়েছে। সেখানে প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে তুলবেন তাঁরা। ছবি: পিক্সাবে।
শাহরমের বক্তব্য, “দক্ষিণ মেরুতে সম্পত্তির অধিকার রয়েছে আমাদের। সেখানে নিজেদের পতাকা উত্তোলন করব আমরা। প্রতিরক্ষা এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত কাজকর্মও সেখানেই চলবে।” ছবি: পিক্সাবে।
সম্প্রতি কাতারে আটকে থাকা ইরানের ৬০০ কোটি ডলার ছেড়ে দিয়েছে আমেরিকা। ওই টাকা আন্টার্কটিকায় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছেন শাহরম। ছবি: পিক্সাবে।
যদিও এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। আমেরিকার বিদেশ বিভাগের মুখপাত্র বলেন, “কাতারে ইরানের যে অর্থ রয়েছে, তা আন্টার্কটিকায় ব্যবহারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। মানবিক পণ্য, খাবার, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং কৃষিজাত পণ্য কিনতেই ওই টাকা ব্যবহার করতে পারবে ইরান।” ছবি: পিক্সাবে।
এমনিতে ইরানের উপর একাধিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।পশ্চিম এশিয়ায় তাদের আগ্রাসন ঠেকাতেই কাতারে ওই ৬০০ কোটি ডলার আটকে দেওয়া হয় বলে দাবি করে আমেরিকা। ইজরায়েল এবং প্যালেস্তাইনের হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে, ওই টাকা ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবি: পিক্সাবে।
সেই টাকাই এবার আন্টার্কটিকায় ব্যবহারের ঘোষণা করল ইরান। কিন্তু আন্টার্কটিকায় সেনা ঘাঁটি গড়ে তোলার এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক চুক্তির পরিপন্থী বলেও দাবি আমেরিকা এবং পশ্চিমি দেশগুলির। ছবি: পিক্সাবে।
১৯৫৯ সালে আন্টার্কটিকা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যাতে স্বাক্ষর করে ১২টি দেশ। ওই চুক্তি অনুযায়ী, আন্টার্কটিকায় বৈজ্ঞানিক গবেষণার অধিকার রয়েছে সব দেশের। আন্টার্কটিকার শান্তি রক্ষার কথাও উল্লেখ ছিল চুক্তিতে। ছবি: পিক্সাবে।
আন্টার্কটিকার নিরস্ত্রীকরণ এবং সেখানে স্থিতাবস্থা টিকিয়ে রাখার কথাও বলা হয় চুক্তিতে। তবে আন্টার্কটিকার সার্বভৌমত্ব সংক্রান্ত কিছুর উল্লেখ ছিল না। কিন্তু ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি ইরান। ছবি: ফ্রিপিক
তবে ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ভারত, নিউজিল্যান্ড, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং চিলির মতো ইরানও আন্টার্কটিকায় নিজেদের আউটপোস্ট গড়ে তুলতে পারে। কিন্তু পতাকা উত্তোলনের অর্থ অধিকার কায়েম নয়। ১৯৬১ সালের পর সম্পত্তির অধিকারের কোনও দাবি কার্যকর হবে না বলে আন্টার্কটিকা চুক্তিতেই উল্লেখ রয়েছে। ছবি: ফ্রিপিক
আন্টার্কটিকা চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলি হল, আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জাপান, ভারত, চিন, রাশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড। ওই চুক্তি অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ কাজে আন্টার্কটিকাকে ব্যবহার করা যাবে। কিন্তু সামরিক কাজকর্ম, অস্ত্র পরীশ্রা, পরমাণু বিস্ফোরণ বা তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ফেলা একেবারে নিষিদ্ধ। ছবি: ফ্রিপিক
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -