Japan Airport Sinking: জলের উপর পৃথিবীর প্রথম বিমানবন্দর, একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরে

Kansai Airport Sinking: ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেলের সেরা নিদর্শন। সেই নির্মাণ এখন তলিয়ে যাওয়ার মুখে।

Continues below advertisement

-নিজস্ব চিত্র।

Continues below advertisement
1/10
মহাসাগরের উপর নির্মিত পৃথিবীর প্রথম বিমানবন্দর। শুধুমাত্র বিমানবন্দর তৈরির জন্যই দু’টি কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তোলা হয়। পৃথিবীর অন্য়তম সেরা ‘ইঞ্জিনিয়ারিং মার্ভেল’ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। জাপানের সেই কানসাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তলিয়ে যাওয়ার উপক্রম। (Kansai International Airport)-ফাইল চিত্র।
2/10
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে কিশি জলপ্রণালী দ্বারা যুক্ত হয়েছে জাপানের ওসাকা শহরের উপকূলভাগ। সেখানকার মূল বিমানবন্দরে জায়গা কুলোচ্ছিল না বলে বিকল্প বিমানবন্দর গড়ে তোলার পরিকল্পনা গৃহীত হয় প্রায় তিন দশক আগে। কিন্তু স্থানীয়দের আপত্তিতে স্থলভাগে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করা সম্ভব হয়নি। -ফাইল চিত্র।
3/10
উপায়ান্তর না দেখে, প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে ভাসমান বিমানবন্দর গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেয় জাপান সরকার। সেই মতো ১৫ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়। বিমানবন্দরটি গড়ে তুলতে প্রথমে জলের উপর দু’টি পৃথক কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তোলা হয়, যার এক একটির আয়তন যথাক্রমে ১২৬০ ও ১৩৪৭ একর। -ফাইল চিত্র।
4/10
দীর্ঘ সাতবছর ধরে চলে নির্মাণকার্য। দীর্ঘ ২০ বছর ধরি পরিকল্পনা এবং সাত বছর ধরে নির্মাণকার্য চলার পর, ১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয় যাত্রীদের জন্য। সেই থেকে গত ৩০ বছর ধরে পৃথিবীর অন্যতম ব্যস্ত বিমানবন্দর হিসেবে কার্য সম্পাদন করছিল কানসাই বিমানন্দর। কিন্তু আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই তার আয়ু শেষ বলে জানা যাচ্ছে। ছবি: ফ্রিপিক।
5/10
২০৫৬ সালের মধ্যেই বিমানবন্দরটি প্রশান্ত মহাসাগরে তলিয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। ১৯৯৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত বিমানবন্দরটির ১২.৫ ফুট অংশ জলের নীচে চলে গিয়েছে। একটি দ্বীপের ৫৭ ফুটই চলে গিয়েছে চলের নীচে। আর তাতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করে দিয়েছেন সকলে।
Continues below advertisement
6/10
Aerotime জানিয়েছে, উদ্বেগজনক হারে জলে অবনমন ঘটছে কানসাই বিমানবন্দরের। বিমানবন্দরটি তৈরি করতে লক্ষ লক্ষ লিটার জল তুলে ফেলা হয়। মহাসাগরের বুকে দেওয়াল তোলা হয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উপরিভাগ পাঁচ ফুট পুরু বালির স্তরে ঢেকে দেন ইঞ্জিনিয়াররা। তার উপর ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের ২২ লক্ষ মোটা পাইপ পেতে তৈরি করা হয় বিমানবন্দরের ভিত্তি। ছবি: ফ্রিপিক।
7/10
কিন্তু এতকিছুর পরও বিমানবন্দরের নীচের অংশ স্পঞ্জের মতো হয়ে রয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্তই ৩৮ ফুট বসে যায়। এমনটা ঘটতে পারে বলে আগে থেকে আঁচ করা হলেও, অবনমনের হার অনুমানের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি ছিল। ছবি: ফ্রিপিক।
8/10
১৯৯৪ সালে যেখানে ২০ ইঞ্চি বসে যায়, ২০০৮ সালে বসে যায় ৩ ইঞ্চি। গত এক বছরেই ৫৪টি পৃথক পয়েন্টে ২১ সেন্টিমিটার করে অবনমন ঘটেছে। আর তাতেই ঘোর বিপদ দেখছেন সকলে। তবে এখনও পর্যন্ত উড়ান পরিষেবা অব্যাহত রয়েছে সেখানে। বিমানবন্দর সংস্কারের কাজও চলছে। ছবি: ফ্রিপিক।
9/10
এই কানসাই বিমানবন্দরকে ঘিরে ওসাকার ছবিও পাল্টে গিয়েছে। জাপানের গণ পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছি বিমানবন্দরটিকে। ট্রেন যায় বিমানবন্দর পর্যন্ত, আবার বাসও চলে। সেন্ট্রাল ওসাকা থেকে মহাসাগরের বুকে ভাসমান বিমানবন্দরে পৌঁছতে ট্রেনে লাগে ৩০ মিনিট। ছবি: ফ্রিপিক।
10/10
প্রথম সারির বিমান সেখান থেকে ওড়ে। সরাসরি সান ফ্রান্সিসকো, লস অ্যাঞ্জেলস, গুয়াম, ভ্যাঙ্কুভার, ইউরোপেও বিমান যায়। ছবি: ফ্রিপিক।
Sponsored Links by Taboola