বিধি মেনে মিশল আবেগ, একাদশীর সন্ধেজুড়ে প্রতিমা বিসর্জন বাবুঘাটে

দশমীর পর একাদশীতেও প্রতিমা নিরঞ্জন। গতকাল যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায় ঘাট সাফাইয়ে নামেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা৷ ঘাট থেকে সরিয়ে ফেলা হয় প্রতিমার কাঠামো, ফুল-সহ বর্জ্য পদার্থ।

উমা চললেন বিসর্জন যাত্রায়। জলে বিলীন হওয়ার আগে তাঁকে আলো দেখালেন মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ।

জেলায় জেলায় একাদশীতে বিধি মেনে চলেছে প্রতিমা বিসর্জন। মালদার চাঁচল রাজবাড়ির পুজোয় আজও চলে আসছে পুরনো রীতি। সময়ের সঙ্গে লণ্ঠনের জায়গা নিয়েছে চার্জার লাইট। সম্প্রীতির ঐতিহ্যে ছেদ পড়েনি।

অন্যদিকে একাদশীতেও কলকাতায় উত্সবের রেশ। বৃষ্টি বন্ধ। ভিড় উধাও হতেই ফাঁকা রাস্তায় ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়লেন প্রবীণরা।

দশমী বিদায় নিয়েছে ঠিকই। কিন্তু তার পিঠোপিঠি একাদশী আর দ্বাদশী পড়ে গিয়েছে উইকেন্ডে। আর সেটাই যেন বাড়িয়ে দিয়েছে উৎসবের রেশকে।

বৃষ্টির বিরতি। তার ওপর আবার একাদশীর সকালে ফাঁকা রাস্তাঘাট। সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি এই সব প্রবীণরা।

প্রথা, রীতি, বিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জন। উদ্যোক্তাদের মুখে মুখে স্লোগান, আসছে বছর আবার হবে।

দশমীর পর আজ একাদশীর দিনও দিনভর চলল বিসর্জন পর্ব। দশমীর সকাল থেকেই গঙ্গার ঘাটে শুরু হয়েছে বিসর্জন পর্ব। করোনা আবহে রয়েছে নিয়মের কড়াকড়ি। মণ্ডপ থেকে সরাসরি প্রতিমা আনা হবে গঙ্গার ঘাটে। শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ৩ জনকে ঘট বিসর্জনের জন্য গঙ্গায় নামার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল গঙ্গার ঘাটে নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা। বাবুঘাট, গোয়ালিয়র ঘাট, আহিরীটোলা ঘাট, সর্বমঙ্গলা ঘাট-সহ ২৪টি ঘাটে বিসর্জন হয়।

ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালায় পুলিশ। রিভার ট্রাফিক পুলিশকেও সতর্ক করা হয়। বোট নিয়ে নদী পথে নজরদারি চালান তাঁরা। প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘাটমুখী রাস্তায় নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি পদমর্যাদার অফিসাররা।

উল্লেখ্য, গতকালও বিসর্জনে বেরিয়ে বৃষ্টির কারণে সমস্যায় পড়তে হয় পুজো উদ্যোক্তাদের। আজও দক্ষিণবঙ্গে ফের বৃষ্টির ভ্রুকুটি।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বুধবার, লক্ষ্মীপুজোর দিন পর্যন্ত চলতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উত্তরবঙ্গেও ওপরের দিকের জেলাগুলিতে সোম ও মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ( ছবি: সৌমিত্র রায়)