Mars Opal Finding: মঙ্গলের মাটিতে ময়ূরপঙ্খী রত্নের ভাণ্ডার! জলের অস্তিত্ব ঘিরে আরও জোরাল হল সম্ভাবনা

মঙ্গলের বুকে আস্ত রত্নভাণ্ডার লুকিয়ে থাকতে পারে বলে এ বার হদিশ পেল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। দীর্ঘ কাল আগে শুকিয়ে যাওয়া একটি হ্রদের নিচে ওপল রত্নের ভাণ্ডার রয়েছে বলে মিলল ইঙ্গিত।

নাসা-র কিউরিওসিটি রোভার মঙ্গলের মাটিতে বিচরণ করে এমনই ইঙ্গিত পেয়েছে। তবে এই রত্নভাণ্ডারের সন্ধান আরও বৃহত্তর সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে। তা হল, হতে পারে যত আগে মনে করা হচ্ছিল, তার চেয়ে ঢের সময় পরেও মঙ্গলে জল এবং পাথরের মিথস্ক্রিয়া চলেছে।

তাই বিজ্ঞানীদের ধারণা, জল এবং পাথরের মিথস্ক্রিয়া যদি হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে মঙ্গলের বুকে এককালে জীবাণুর অস্তিত্ব থাকা সম্ভাবনা জোরাল। জার্নাল অফ জিওফিজিক্যাল রিসার্চ: প্ল্যানেট-এ প্রকাশিত গবেষণাপত্রে বিষয়টি সামনে এসেছে।

সৌরজগতের অন্যত্র প্রাণের সন্ধান করতে গিয়ে এ যাবৎ মূলত জলের অস্তিত্বের উপরই বেশি করে জোর দিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ প্রাণের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে তা থাকা বাধ্যতামূলক।

এই মুহূর্তে লালগ্রহে জলের ধারা চোখে পড়েনি। তবে মাটির গঠন, বিভিন্ন খনিজ এবং পাথর পরীক্ষা করে সেখানে এককালে জলের অস্তিত্ব ছিল বলে ইঙ্গিত মিলেছে বিগত কয়েক বছরে। তাই মাটি খুঁড়ে সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়াই এই মুহূর্তে প্রধান লক্ষ্য বিজ্ঞানীদের।

তাই ওপল রত্নের খোঁজ মেলায় আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। ওপল পাথরকে বাংলায় ময়ূরপঙ্খীও বলা হয়। বালিমাটিতে সিলিকা এবং জলের মিথস্ক্রিয়ায়, উচ্চ তাপমাত্রায় এই পাথর তৈরি হয়। রামধনু থেকে বেগুনি, নীল, নানা রংয়ের হয় এই পাথর। তার মধ্যে কিছু পাথর হয় দুর্মূল্য।

বর্তমানে পৃথিবীর বুকে মেক্সিকো, ব্রাজিল, হন্ডুরাস, নেক্সিকো, জাপান, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় ময়ূরপঙ্খী পাথর মেলে। তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে পর্যটন ব্যবসাও।

এর পাশাপাশি জ্যোতিষশাস্ত্রেও এই পাথরের অসীম গুরুত্ব। প্রাচীন কালে রাজা-মহারাজাদের মধ্যে এই পাথর ধারণ করার চল ছিল। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই পাথর ধারণ করলে জীবনের সব ক্ষেত্রে বিজয়ী হওয়া যায়।

মঙ্গলের বুকে ১৫৪ কিলোমিটার চওড়া হ্রদ শুকিয়ে তৈরি হওয়া ‘গেল’ গহ্বরের মাটির নিচে এই ময়ূরপঙ্খী পাথর সঞ্চিত রয়েছে বলে ইঙ্গিত পেয়েছে নাসা-র কিউরিসিটি রোভার।

মঙ্গলের মাটি খুঁড়ে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ এবং তার ছবি তুলে পাঠায় এই কিউরিসিটি রোভার। আগেও এমন অনেক ছবি এসেছিল মঙ্গল থেকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, হ্রদের গর্ভে পাথরের খাঁজে, ইতি উতি আলোর বলয়ের মতো ঝকঝকে কিছু উঁকি দিতে দেখা গিয়েছে।

এর মধ্য়ে সম্প্রতি কিছু হালকা রংয়ের পাথরেরও সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি সিলিকা-সমৃদ্ধ ময়ূরপঙ্খী পাথর বলেই ধারণা বিজ্ঞানীদের।