Peshawar Blast: সামনের সারিতে বসে নমাজপাঠ আত্মঘাতী জঙ্গির! লাশের সারি পেশোয়ারের রাস্তায়
দুপুরের নমাজ চলছিল মসজিদে। সেই নিস্তব্ধতা ভেদ করে আচমকা তীব্র বিস্ফোরণ। মুহূর্তের মধ্যে রক্তে ভেসে গেল চারিদিক।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appসোমবার দুপুরে এমনই ভয়াবহতার সাক্ষী থাকল পাকিস্তান। পেশোয়ারে পুলিশ লাইনে অবস্থিত মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে কমপক্ষে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন ১৫৭ জন।
যে মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, সেটি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকার্য শেষ হয়নি এখনও। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও মানুষ জন চাপা পড়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পেশোয়ারের সমস্ত হাসপাতালে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্ফোরণে আহতদের চিকিৎসাকেই আপাতত প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। গড়ে তোলা হয়েছে একাধিক অস্থায়ী চিকিৎসা শিবিরও।
সোমবার দুপুর ১টা বেজে ৪০ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণটি ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এক ব্যক্তি নমাজ পড়ার সময় সামনের সারিতেই ছিলেন। তিনিই আত্মাঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের।
পেশোয়ারের পুলিশ আধিকালিক মহম্মদ ইজাজ খান জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের জেরে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়েছে। ধ্বংস্তূপের নিচে প্রচুর মানুষ আটকে পড়েন। তড়িঘড়ি উদ্ধারকার্য শুরু করা হলেও, উদ্ধারকার্য সম্পূর্ণ করা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
পুলিশ জানিয়েছে, মসজিদের হলে ২৫০ থেকে ৩০০ জন বসতে পারেন। ছাদ ভেঙে পড়ায় অনেকেই তার নিচে চাপা পড়েন। কী ধরনের বিস্ফোরক ব্য়বহার করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, তা মোটামুটি আঁচ করতে পারলেও, পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে কিছু বলতে নারাজ পুলিশ।
বিস্ফোরণের সময় মসজিদের আশেপাশে ৩০০ থেকে ৪০০ পুলিশকর্মী উপস্থিত ছিলেন। তার পরেও কী ভাবে পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ আকার ধারণ করল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে।
সোমবার তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করে। গত বছর অগাস্ট মাসে আফগানিস্তানে তাদের কমান্ডার উমর খালিদের মৃত্যুর বদলা নিতেই এই আত্মঘাতী হামলা বলে জানানো হয়। কিন্তু পরে তালিবান মুখপাত্র মহম্মদ খোরাসানি হামলার দায় অস্বীকার করেন। জানান, মসজিদ বা যে কোনও ধর্মীয় স্থানে বিস্ফোরণ ঘটানোর বিপক্ষে তাঁরা।
পাকিস্তান পুলিশের সন্ত্রাস দমন বিভাগের সদর দফতর এলাকার মধ্যেই ওই মসজিদটি অবস্থিত। নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনী তার চারিদিকে। তার মধ্য়েও কী ভাবে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -