Albert Einstein: রাস্তা থেকে তুলে খেয়েছেন পোকাও, মোজা পরেননি কখনও, আইনস্টাইনের ‘উদ্ভট’ কাণ্ড কারখানা আজও চর্চার বিষয়
বিখ্যাত হওয়ার জ্বালা অনেক আজও এমন ধারণা রয়েছে আমাদের। এই তত্ত্বকে সর্বাংশে ভুল বলে দাগিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বিখ্যাত মানুষের শোওয়া, বসা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর উপরই নজর থাকে সকলের। তাঁর কোনও অভ্যাস বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে না খাটলেই, তা নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবিজ্ঞানের দুনিয়ায় প্রতিভা বিচ্ছুরণ ঘটালেও, সেই কাটাছেঁড়া থেকে রক্ষা পাননি স্বয়ং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও। তাঁর গবেষণা, আবিষ্কার, তত্ত্ব যেমন আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক। তেমনই তাঁর কিছু অভ্যাসের কথাও ঘুরে ফিরে উঠে আসে। মজগাস্ত্রে শান দিতেই তিনি কিছু অভ্যাস রপ্ত করেছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে আবার সেগুলিকে ‘উদ্ভট’ কাণ্ড কারখানা বলেও দাগিয়ে দেন।
যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, দিন ১০ ঘণ্টার ঘুমে কখনও হেরফের হতে দেননি আইনস্টাইন। আজকের দিনে মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে তুলনা টানলে, বিস্তর ফারাক ধরা পড়ে। আজকের দিনে মানুষ গড়ে ৬.৮ ঘণ্টা ঘুমোতে পারেন।
বেশি ঘুমোলে আজকাল অলস তকমা জুড়ে যায় গায়ে। কিন্তু একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, মস্তিষ্ক সচল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যপ্রয়োজন। আইনস্টও তাই ঘুমের সঙ্গে আপস করেননি কখনও। জানা যায়, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে থিওরি অফ রিলেটিভিটি-র তত্ত্ব মাথায় আসে আইনস্টাইনের।
যত ক্লান্তিই থাকুক না কেন, রোজ হাঁটতে বেরোতেন আইনস্টাইন। প্রিন্সটনে কাজ করার সময রোজ কয়েক মাইল হেঁটে গিয়ে ফিরেও আসতেন। অন্য আর এক সাংবাদিক, চার্লস ডারউইনও দিনে ৪৫ মিনিট নিয়ম করে হাঁটতে বেরোতেন। বলা হয়, ঠায় বসে থাকার চেয়ে ২০ মিনিটও যদি রোজ কেউ হাঁটেন, তাতে স্মৃতিশক্তি, সৃজনশীলতা এবং সমস্যা সমাধানের শক্তি বাড়ে।
হাঁটার সময় অন্য মাথা ঘামানোর কাজ থেকে রক্ষা পায় মস্তিষ্ক। ফলে মনের মধ্যে চলা ভাবনা-চিন্তার সঙ্গে সংযুক্ত বোধ করে। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাজিমাত করা সম্ভব হয়। আইনস্টাইন বলেছিলেন,আদিমযুগের চিন্তাভাবনা দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই মগজাস্ত্রের ঘষামাজার পক্ষে ছিলেন তিনি।
ভায়োলিন বাজানোর শখ ছিল আইনস্টাইনের। হেঁটে হেঁটে পাখি দেখতে যাওয়া সময়ও কাঁধে থাকত ভাযোলিন। বাজিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনকি গানে গানেই চিন্তাভাবনা করেন এবং সঙ্গীতের মধ্যেই তাঁর দিবাস্বপ্ন ডানা মেলে উড়তে পারে বলে জানান। বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্লাসিক্যাল গানে মানসিক চাপ কমে।
স্প্যাগেটি খেতে অসম্ভব ভালবাসতেন। ইতালির যে জিনিসই পছন্দে ছিল তাঁর, স্প্যাগেটি এবং গণিতজ্ঞ, লেভি-সিবিথা। শরীরের ২০ শতাংশ এনার্জি মস্তিষ্কই গ্রহণ করে। পাস্তায় থাকা কার্বোহাইড্রেট চাঙ্গা থাকে শরীর।
সিগারেট বা মদ নয়, চুরুট খাওযা অসম্ভব পছন্দ ছিল আইনস্টাইনের। আজকের দিনে এর পরিণতি কী হতে পারে সকলেরই জানা। তাও বিশেষ করে প্রকাশ্যে চুরুট টানতে পছন্দ করতেন তিনি। কলেজের ক্যাম্পাসেও তাঁর মুখে ঝুলত চুরুট। তাঁর বক্তব্য ছিল, “মনুষ্যঘটিত সবকিছু শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষ ভাবে দেখার নেপথ্যে অনুঘকের কাজ করে চুরুট।”
কয়েক দশক পর কীট-পতঙ্গ, পোকামকড় খাদ্যতালিকায় পাকাপাকি জায়গা করে নেমে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই জানিয়ে আসতেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু ঢের আগে আইনস্টাইনও পোকামাকড় খেতেন। রাস্তা থেকে তুলে পোকা খাওয়ার নজিরও রয়েছে তাঁর। পোকামাকড়ে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং হেলদি ফ্যাট রয়েছে। মস্তিষ্ক এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে সচল এবং সুস্থ রাখতেই পোকামাকড় খেতেন আইনস্টাইন।
জুতোর সঙ্গে কখনও মোজা পরতেন না আইনস্টাইন। তাঁর যুক্তি ছিল, ছোটবেলায় মোজা পরে দেখেছেন বুড়ো আঙুলটি বরাবর মোজা ফুটো করে দেয়। তাই মোজা পরা ছেড়ে দেন তিনি। তাই বলে সকলকে মোজা না পরার পরামর্শ মোটেই দেননি তিনি। শুধু নিজের আরাকেই প্রাধান্য দেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -