Rath Yatra 2023: রাত পোহালেই রথ, 'আজ্ঞা-মালায়' বরণ জগন্নাথকে; শ্রীক্ষেত্রে সাজ-সাজ রব
অর্ণব মুখোপাধ্যায়, ওড়িশা: রথযাত্রাকে ঘিরে পুরীতে সাজ-সাজ রব। রাত পোহালেই সেই শুভ মুহূর্ত। ইতিমধ্যেই দূর-দূরান্ত থেকে শ্রীক্ষেত্রে আসছেন পুণ্যার্থীরা। তার আগে 'আজ্ঞা মালায়' আজ বরণ করা হল জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appবলা হয়, এই মালায় নিবেদন করেই জগন্নাথদেবদের রথ নিয়ে মন্দিরে আসার জন্য আবেদন জানান হয়। মন্দির চত্বর থেকে বেশ কিছুটা দূরেই থাকে রথ। সেখানেই থাকে মূল কাঠামো। এদিন, মালায় বরণ পর্ব শেষে রথের দড়ি টেনে তা মন্দির চত্বরের কাছাকাছি নিয়ে আসা হয়।
এই রথকে মনে করা হয় ভক্ত ও ভগবানের মিলন উৎসব। ভক্তকে দর্শন দিয়ে কৃপা করতে ভগবান স্বয়ং পথে নেমে আসেন, এমনটাই বিশ্বাস।
প্রাক রথযাত্রার এই উৎসবটি নেত্র-উৎসব নামেও খ্যাত শ্রীক্ষেত্রে। রথযাত্রায় জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলরামের তিনটি রথের আলাদা নাম রয়েছে। জগন্নাথের রথ হল নন্দীঘোষ। এটি উচ্চতায় সবচেয়ে বড়।
বলরামের রথটির নাম তালধ্বজ। সুভদ্রার রথের নাম দর্পদলন। রথযাত্রায় জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা রথে একা থাকেন না। তাঁদের সঙ্গে সহযাত্রী হিসেবে একজন করে অন্য দেব-দেবীও থাকেন।
ওড়িশায় লোকমুখে ফেরে এমনই একটা গল্প। একবার আদরের বোন সুভদ্রা তাঁর দাদার কাছে বাইরে ঘুরতে যাবার বায়না ধরেন। তখন দাদা জগন্নাথ তাঁকে রথে চড়ে ঘোরাতে নিয়ে যাঁন। তাঁদের সঙ্গী হন আরেক ভাই বলরাম বা বলভদ্র। সেই থেকেই রথযাত্রার সূচনা। যুগে যুগে মানুষ জগন্নাথ, সুভদ্রা এবং বলরামের এই ত্রিমূর্তির নানা ব্যখ্যা করেছেন।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -