Himachal Pradesh: ৪৮ ঘণ্টায় ৩০ জনের প্রাণহানি, প্রায় ৪০০০ কোটির ক্ষয়ক্ষতি, ভারী বর্ষণে জলমগ্ন গোটা হিমাচল
একটানা ভারী বর্ষণে বিপর্যস্ত গোটা উত্তর ভারত। এর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচলপ্রদেশই। সেখানকার একাধিক জেলায় জারি হয়েছে লাল এবং কমলা সতর্কতা।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appমঙ্গলবার নতুন করে হিমাচলের একাধিক জেলায় লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য জারি করা হয়েছে এই সতর্কতা।
সোলান, শিমলা, সিরমউরি, কুলু, মান্ডি, কিন্নৌর এবং লাহৌলে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর পাশাপাশি উনা, হামিরপুর, ক্যাংরা, চাম্বায় জারি গয়েছে কমলা সতর্কতা।
হড়পা বানের সতর্কতা জারি করা হয়েছে মান্ডি, কিন্নৌর এবং লাহৌল-স্পীতিতে। বিগত কয়েক দিনে হিমাচলে যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাতে নয়া রেকর্ড তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর।
ভারী বর্ষণে হিমাচলের ১২টি সেতু ভেঙে পড়েছে বলে মিলেছে খবর। বিপাশার মতো বড় নদী তো বটেই, ছোট ছোট নদী, খালগুলিও উপচে পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। তাতে জায়গায় জায়গায় নেমেছে ধস। রাস্তাঘাট সব বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
গত ৪৮ ঘণ্টায় হিমাচলে ধস এবং হড়পা বানে ভেসে যাওয়ার মতো ঘটনায় ৩০ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। এখনও পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু জানিয়েছেন, গত ৫০ বছরে এত বৃষ্টি হয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর। কেন্দ্রের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে বলে জানিয়েছেন।
তবে শুধু বর্ষার মরশুম বলেই নয়, এবছর আগাগোড়াই বৃষ্টির প্রকোপ দেখা গিয়েছে হিমাচলে। জুন মাস থেকে সেখানে বৃষ্টি, ধসে ৭২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
স্পীতি এবং লাহৌলে বসতি এলাকায় জল ঢুকে আসায় বহু পরিবার ঘরছাড়া। সেখানে উদ্ধারকার্য চলছে। হড়পা বানের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে হিমাচলের ৬৬টি রাস্তা ধসে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জায়গায় জায়গায় ধস নামায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে যান চলাচল। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে একাধিক জায়গায়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -