মুখে ‘সিবিআই’, কার্ডে ‘সিআইবি’, সল্টলেকে গাড়ি আটকে তোলাবাজির পর্দাফাঁস, ধৃত ৫
নিউটাউনের আকাঙ্খা মোড়। গরু-বোঝাই একটি গাড়ির পথ আটকে দাঁড়াল একটি ইনোভা গাড়ি, হঠাৎই। গাড়ি থেকে নিমেষে নেমে এল পাঁচজন। যাঁদের একজনের হাতে ওয়াকিটকি। নেমেই হম্বিতম্বি শুরু গরু-বোঝাই গাড়িটির চালক এবং খালাসির উপর, 'আমরা সিবিআই অফিসার। আপনাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র আছে রাত্রে এভাবে যাতায়াতের?'
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appএরপর লোক দেখানো তল্লাশি এবং মোটা অঙ্কের টাকার দাবি। এবং দাবি না মেটালে গ্রেফতার করা ও বড় কেসে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি। 'সিবিআই' শুনে শুরুতে বেশ ঘাবড়েই গিয়েছিলেন গাড়ির চালক। তল্লাশিতে বাধা দেওয়ার সাহস হয়নি। কিন্তু গাড়ির বৈধ কাগজপত্র যেহেতু সঙ্গে ছিল, টাকা দিতে সোজাসুজি অস্বীকার করেন। শুরু হয় দু'পক্ষের তর্কাতর্কি।
ওই পথ দিয়েই তখন যাচ্ছিল ইকোপার্ক থানার নৈশ টহলদারি গাড়ি। মাঝরাতে জটলা দেখে থেমে যান টহলদারি অফিসার। সব শুনে ওই পাঁচজনের কাছে তাঁদের আইডেন্টিটি কার্ড দেখতে চান। যাঁদের পকেট থেকে বেরিয়ে আসে আই-কার্ড। কার্ডে লেখা, সিআইবি-ক্রাইম ইন্টেলেজেন্স ব্যুরো (CIB -Crime Investigation Bureau)।
সিআইবি? সেটা আবার কী? এমন কোনও সরকারি তদন্তকারি সংস্থার নাম কস্মিনকালেও শোনেননি থানার অফিসার। সন্দেহ হওয়ায় থানায় নিয়ে আসা হয় ওই পাঁচজনকে। এবং আধঘন্টার জিজ্ঞাসাবাদেই পর্দাফাঁস।
ভুয়ো আই-কার্ড বানিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছুদিন ধরেই গভীর রাতে তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছিল এই পাঁচ মূর্তিমান।
ভাবেনি, বাড়া ভাতে ছাই পড়বে থানার রাত্রিকালীন টহলে।
অভিযুক্তরা আপাতত জেল হেফাজতে। চক্রের শিকড় কতটা গভীরে, জানতে তদন্ত শুরু করেছে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট। (প্রতিবেদন-আবীর দত্ত)
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -